মিজান বিন তাহের: বাঁশখালী উপজেলা সদরসহ মেডিকেল এলাকায় বিদ্যুৎ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের পুরুষ এবং মহিলা ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ নেই। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা।
হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডের ৫ নং সীটে চিকিৎসা নিতে আসা নাপোড়া সিকদার পাড়া এলাকার সমুদা খাতুন জানান, আমার নাতী আব্দুল খালেকের ডায়ারিয়া রোগ হওয়ায় গতকাল থেকে আমার নাতীকে নিয়ে বাঁশখালী হাসপাতালে আছি, আজ শুক্রবার বলে ডাক্তার আসছে সকালে ১১ টায়, আর কোন ডাক্তার দেখিনি। সন্ধ্যা থেকে পুরো মহিলা ওয়ার্ডে অন্ধকার, যেন দেখার কেউ নাই, তীব্র গরমে মরছি, টর্চ লাইট জ্বালিয়ে বসে আছি, অন্ধকারে গরমে আমার নাতীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
অন্য দিকে পুরুষ ওয়ার্ডের ৪৬ নং সীটে ভর্তি থাকা মিনজীর তলার আমজাদ আলী(৬২) বলেন,গতকাল থেকে ভর্তি হয়েছে, আজকে সারাদিনে শুধু একবার ডাক্তার এসে দেখে গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ এবং নার্সদদের রুমে ছাড়া বাকী ২ টি মহিলা ওয়ার্ড এবং ১ পুরুষ থাকলেও কোথাও বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকারে খাওয়া দাওয়া করতে খুব কষ্ট হচ্ছে বিধায় নার্সদেরকে বললে ওরা জানান বিদ্যুৎ আছে কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছে কোথাও। মেরামত কখন হবে জানি না।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ-তৌহিদুল আনোয়ারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজ শুক্রবার আমি হাসপাতালে নাই, নিজ বাড়িতে অবস্থান করছি।মেডিকেলে পুরুষ এবং মহিলা ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ নাই কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আজকে মেডিকেলে বিদ্যুৎ মেরামত কারীসহ কোন স্টাফ নাই, সবাই আমাদের মেডিকেলের এক স্টাফের বিয়ে খাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে গেছে। পুরুষ এবং মহিলা ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ নাই বিষয়টি আমি জানি না, তবে বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখতেছি বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেন।
পরবর্তীতে এ রিপোর্ট লেখা (গত রাত ১০টা পর্যন্ত) খবর নিয়ে জানা যায়, তখনও পুরুষ এবং মহিলা ওয়ার্ডে কোন বিদ্যুতের আলো নাই, মেরামতের খবর নাই।
উল্লেখ্য,বাঁশখালী হাসপাতালে জেনারেটর থাকলে ও সরকারী ভাবে তৈল এর বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে জেনারেটর টি চালানো হয় না।