BanshkhaliTimes

বাঁশখালী পৌরসভায় দুদকের হানা, তালা ভেঙে নথি উদ্ধার

BanshkhaliTimes

মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি নানা দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৩-৫ টায় দুদকের একটি টিম প্রাথমিক তদন্তে আসেন। এতে পৌরসভায় ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের সরেজমিনে তদন্ত করেন তারা।

তদন্ত চলাকালীন সময়ে বাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয়ে কাউন্সিলর, কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং কাগজপত্র সংগ্রহ করে দুদক চট্টগ্রাম-২। চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবির ও টিম লিডার রতন কুমার দাশের নেতৃত্বে তদন্ত চলাকালীন সময়ে দুদকের কর্মকর্তারা বাঁশখালী পৌরসভার একটি লোহার আলমিরার ড্রয়ার ভাঙতে দেখা গেছে। এ সময় তারা অভিযোগের সত্যতা পান বলে ও জানান।

উল্লেখ্য, বাঁশখালী পৌরসভা মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৌর পরিষদের মাসিক সভায় কাউন্সিলরদের মতামত কিংবা পরামর্শ এড়িয়ে যাওয়া, টেন্ডারে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ নিয়োগ প্রদান, ঘুষ গ্রহণসহ খাসকামরার নামে অফিসের পাশে আলাদা একটি কক্ষে মহিলা কর্মচারীদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণ সংক্রান্তসহ ১২টি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীরা হলেন- ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ দেলোয়ার হোছাইন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবলা কুমার দাশ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীলিপ চক্রবর্তী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল কবির সিকদার।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী কাউন্সিলররা বলেন, আমাদের পৌরসভার মেয়রের দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগগুলো তদন্তে আসা দুদকের কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।

দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চল ২ এর সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি বাঁশখালী পৌরসভার ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। অভিযোগটির ভিত্তিতে দুদক তদন্ত করতে বাঁশখালী এসেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রাথমিকভাবে আমরা বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করছি। কাগজপত্র নিয়ে যাচ্ছি, কমিশন বরাবর আমরা লিখিত তথ্য দিবো। এ সময় পৌর গোডাউনে বিজিএফএর চাল বিতরণে অনিয়ম পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।

পরে সন্ধ্যায় তারা চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদে হানা দেয়। সেখানেও তারা দীর্ঘ একঘন্টা ব্যাপি তদন্তে জম্ম নিবন্ধন শাখার ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না হওয়ার সত্যতা পাওয়া যায় বলে জানান দুদক তদন্ত টিম।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *