আলোকিত বাঁশখালী
আরকানুল ইসলাম
বাঁশখালীতে জন্ম আমার, বাঁশখালীতে বাস
স্বপ্নীল এক বাঁশখালী হোক- এই করি মনে চাষ।
বাঁশখালীতে জন্ম নিয়ে ধন্য আমি খুব
বাঁশখালীরই প্রেমেতে দিই নিত্য হাজার ডুব।
ঝাউদেয়ালের ঠিক ও-পাশে সাগর ভরা জল
বিকেল হলে বাঁশ বাগানে পাখির কোলাহল।
সূর্যাস্তে সেজে ওঠে খানখানাবাদ বিচ
বাহারছড়ার বিচকেও দিই কেমন করে পিছ!
পুকুরিয়ার চা বাগানে খেলে সবুজ সব
গণ্ডামারার চিংড়ি ঘের-এ সোনার মহোৎসব!
ইকোপার্ককে সাজিয়ে দিল সোনালী শীলকূপ
পাহাড় ঘেঁষে লেকের শোভা কী যে অপরূপ!
প্রেমবাজারের প্রেমিক মানুষ, নাপোড়াতে মন-
পড়ে থাকে, তুলতে গড়ে সম্প্রীতি বন্ধন।
কালীপুরের লিচু খেয়ে চাটগাঁবাসীর দিল-
খোশ হয়ে যায়, এ যেন ভাই বাঁশখালীরই তিল!
বানীগ্রামের মানুষগুলো কেউ কারো পর নন
সাধনপুরের সবজিগুলোর গুণ করি বর্ণন।
চেচুরিয়া-বৈলছড়িতে সুপরিবেশ বেশ
কাথারিয়ার সৌন্দর্যে কমতির নেই লেশ।
ধার্মিকতায় পুঁইছড়ি ও এগিয়ে শেখেরখীল
পীরে ভরা চাম্বলে পাই পুণ্যভূমির মিল।
ছনুয়া ও সরলে হয় মাঠে লবণ চাষ
জলদী সেতো লোকারণ্য পুরো বারমাস।
থানা-পুলিশ, কোর্ট, মেডিকেল, আছে হাসপাতাল
আলোকিত বাঁশখালীর আজ খুব আধুনিক হাল।
বাঁশখালীরই উন্নয়নে রেখে হাতে হাত
আঁধার কেটে আনবো সবাই আলোর সুপ্রভাত।
কবি ও কিশোর ঔপন্যাসিক