বাঁশখালী থেকে তারুণ্যের প্রতিনিধি যাক সংসদে

বাঁশখালী থেকে তারুণ্যের প্রতিনিধি যাক সংসদে

BanshkhaliTimes

মুহাম্মদ তাফহীমুল ইসলাম

চট্টগ্রামের ১৬টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে বাঁশখালী অন্যতম। ৩৯২ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিশিষ্ট ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা দ্বারা সমৃদ্ধ এই জনপদ। বাঁশখালীতে রয়েছে বহু সম্ভাবনাময়ী স্পট। যেই স্পটগুলোর দিকে সুদৃষ্টি দিলেই বাঁশখালী হতে পারে দেশ বিখ্যাত উপজেলা। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাঁশখালী আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন দলের নয়জন প্রার্থী। এর মধ্যে দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামীলীগ, বিএনপির প্রার্থীও রয়েছে। ইতিপূর্বে নির্বাচিত এমপিরা কে কি করেছেন তা আমরা যারা তরুণ তাদের চেয়ে বয়োবৃদ্ধরা বেশি জানে। তবে আমরা যারা তরুণ তারা বাঁশখালীর অতীত ইতিহাস সম্পর্কে কম-বেশি সবাই জেনেছি। সুতরাং আমাদেরকেও বেশি বুঝাতে হবে না। আমরা সবাই বিবেকবান। আমরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেয়া বাঁশখালীর নেতাদের সাক্ষাতকারে দেখতে পাই স্বপক্ষে যুক্তি দিতে। সবাই যুক্তি দিলেও প্রমাণ দিতে পারেন না। কেবল যাদের অবদানেই আজকের বাঁশখালী তাঁরাই জোর গলায় বলতে পারেন। যাই হোক- আমাদের বাঁশখালীর উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনে সর্বপ্রথম আমরা সাধারণ ভোটারদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যেমন প্রতিনিধি নির্বাচিত করি ভবিষ্যত বাঁশখালী হবে ঠিক তেমনই।

সমৃদ্ধ বাঁশখালী বিনির্মানে আমরা তরুণরা চাই একজন ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ। যাঁর মানসিকতায় থাকবে কেবল বাঁশখালীর উন্নয়ন। যাঁর মনে থাকবে না জনগণের টাকা খেয়ে পেট বড় করার লোভ, যাঁর মনে থাকবে না বাড়ি-গাড়ির খায়েশ। আমাদের প্রতিনিধিরা চাইলে বাঁশখালীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশসেরা জনপদের খ্যাতি আনতে পারেন। সুন্দর মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তি হলে বদলে যাবে আমাদের বাঁশখালীর চিত্র। বাঁশখালীর মাটি ফেটে বের হবে সম্পদ। আল্লাহ প্রদত্ত প্রকৃতি থেকে সরকার আদায় করতে পারবে রাজস্ব। সাথে সাথে সৃষ্টি হবে বাঁশখালীর বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান। তাই আমরা যারা তরুণ আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যোগ্য প্রতিনিধির হাতে তুলে দিতে হবে দায়িত্ব। যিনি মুনাফেকি করবেন না। দায়িত্বের প্রতি থাকবেন সচেতন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৎ, যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে আমাদের তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি।

বাঁশখালী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নিকট বাঁশখালীর তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রধান দাবি তুলে ধরছি-
*বাঁশখালীকে পর্যটন উপজেলার স্মীকৃতি আদায় করে দিতে হবে।
*বাঁশখালীর বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
*বাঁশখালীতে একটি উন্নতমানের মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
*বাঁশখালীকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে।
*সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
*সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
*একটি আধুনিক খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে।
*বাঁশখালীর পরিবহন নৈরাজ্য দূরীভূত করতে হবে।
*বাঁশখালীর বিদ্যুত ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে।
*মাদকমুক্ত বাঁশখালী গড়তে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
*বাঁশখালী প্রধান সড়ক সবসময় চলাচল উপযোগী রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

উপরিউক্ত দাবি সমূহসহ যেই প্রার্থীর ইশতেহারে বাঁশখালীর উন্নয়ন প্রধান্য পাবে বাঁশখালীর তরুণ ভোটাররা থাকবে তাঁর পক্ষে। ইনশাআল্লাহ- আগামী নির্বাচনে বাঁশখালী থেকে জয়ী হয়ে তারুণ্যের প্রতিনিধিই যাবে মহান জাতীয় সংসদে। আমরা আগামী নির্বাচনে এমন একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত করবো- যিনি হবেন শিক্ষিত, যোগ্য, দক্ষ। কোন দুর্নীতিবাজ কিংবা বিতর্কিত ব্যক্তিকে বাঁশখালীর তরুণ সমাজ তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবে না। তাই প্রার্থীদের প্রতি আহবান- সমৃদ্ধ বাঁশখালী বিনির্মাণ করতে চাইলে তরুণদের দাবিকে গুরুত্ব দিন।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *