মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একমাত্র মহিলা কলেজ বাঁশখালী গার্লস কলেজের কলেজ বার্ষিকী “রহিমা’র” মোড়ক উন্মোচন, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ ২০১৮ শনিবার বিকাল ৪ টায় বাঁশখালী গার্লস কলেজ মিলনায়তন হল রুমে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মুছা সিকদারের সভাপতিত্বে ও কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ জাহেদুল ইসলাম ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক শুভার্থী ঘোষের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মোড়ক উন্মোচণ করেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সাংসদ বাঁশখালী গার্লস ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মাহবুব উদ্দীন চৌধুরী,অত্র কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য অধ্যাপক হিমাংশু বিমল ভট্রচার্য্য, সাবেক অধ্যক্ষ সুচিত্র রায়, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মেজবাউল হক মানবাধিকার সংগঠন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি বাবু অজিত কুমার দাশ, সনজিত কুমার বড়ুয়া,গভর্নিং বডির সদস্য লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, সমাজসেবক ফজলুল কাদের চৌধুরী, বৈলছড়ি নজমুন্নেচ্ছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাষ্টার গোলামুর রহমান,বাঁশখালী পলিটেকনিক ইস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হামিদুল হক,অধ্যাপক জমির উদ্দীন চৌধুরী প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মহান আল্লাহতালা এই পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তা সবকিছু মানব জাতি মানুষের জন্য। মানুষ তার বিবেক বুদ্ধি দিয়ে নির্যাতিত নিপিড়িত অবহেলিত এবং ক্ষুধার্ত হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তারই নাম হচ্ছে মানবতা। এই মানবতার অন্যতম শর্ত হচ্ছে মানুষকে শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া। বর্তমান সমাজে এ ব্যাপারে নারীরা অনেক পিছিয়ে। নতুন শতকের সুন্দর দেশ ও জাতি বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মকে মননশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অর্জন করতে হবে।
এই নারী জাতীকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বাঁশখালী এতমাত্র গার্লস ডিগ্রী কলেজটা প্রতিষ্ঠা করেছি। ইতিমধ্যে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। আশা করি খুব শীগ্রই এই কলেজকে আরো বহুদুর নিয়ে যেতে পারব। আমি কলেজ বার্ষিকী প্রকাশনার সাথে যারা যারা সংযুক্ত ও সংশ্লিষ্ট রয়েছেন সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। রহিমা মোড়ক উন্মোচন করতে পেরে আমি আজ আনন্দিত। ভবিষ্যতে সৃজনশীল সাহিত্য চর্চায় এ পত্রিকা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।