BanshkhaliTimes

বাঁশখালী- কুতুবদিয়া জেটিঘাট: মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে যাত্রীরা

BanshkhaliTimes

মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন ছনুয়া -কুতুবদিয়া টার্মিনাল জেটিঘাটটি র্দীঘদিন যাবৎ মেরামত না করায় ভেঙ্গে ঝুলে পড়েছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী।
জানা যায়, ছনুয়া টার্মিনাল জেটি হয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ কুতুবদিয়া উপজেলায় যাতায়ত করে। এছাড়াও কুতুবদিয়ার পীরে কামেল হযরত মৌলানা মালেক শাহ (রাহ:) এর মাজার জেয়ারত করার জন্য দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত-আশেক ও মুরিদরা মাজার জিয়ারত করতে আসে এই জেটি দিয়ে। অধিকাংশ মানুষের কুতুবদিয়া যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই ছনুয়া জেটিঘাট। অন্যদিকে কুতুবদিয়ার ছনুয়ার অধিকাংশ লবণ ও বঙ্গপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার প্রতিনিয়ত এই ঘাটই ব্যবহার করে থাকে। কুতুবদিয়া ধুরুম বাজার সিকদার বাড়ীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছোটন জানান, আমরা সপ্তাহে এক দুই বার চট্টগ্রাম শহরে যায় ব্যবসায়িক কাজে। তবে আমাদের জন্য বাঁশখালী ছনুয়া হয়ে চট্টগ্রাম যাতায়ত সহজ হয় কিন্তু ছনুয়া জেটি পার হতে ব্যাপক ভয়। কখন যেন নিচে ভেঙ্গে পড়ি। তাই কুতুবদিয়া বাঁশখালীর পারাপরের একমাত্র অবলম্বন ছনুয়া জেটিঘাটটি মেরামত করা অতী জরুরী হয়ে পড়েছে। কারণ এই জেটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে পারাপার করে থাকে, শীঘ্রই এই জেটি ঘাটটি মেরামত করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে বিগত কয়েক বছর যাবৎ জেটি ঘাটের রাস্তায় সরকারী জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ২টি দোকান। ছনুয়া টার্মিনাল জেটিঘাটের ইজারাদার শমসের শরীফি জানান, বঙ্গোপসাগর বর্ষা মৌসুমে তীব্র জোয়ার ভাটার কারণে জেটি ঘাটটি ব্যবহার খুবই ভয়ানক হয়। অনেক সময় গাছের তক্তাগুলো ভেঙ্গে দুর্ঘটনার শিকার হয় সাধারণ পথচারীরা। এই জেটিঘাটটি প্রতি বছর সরকারী ভাবে ৪-৫ লক্ষ টাকা টেন্ডার হয়। অথচ পেকুয়া মগনামা ঘাট এবং কুতুবদিয়া বরঘোপ ঘাট ও দরবার ঘাট পাঁকা হওয়ায় চলাচল সহজ হলেও মানুষের যাতায়ত একই।

তাদের মত বাঁশখালী ছনুয়া ঘাটটি পাঁকা ভাবে র্নিমাণ করা হলে মানুষের দুঃখ আর থাকবে না। সহজভাবে মানুষেরা চলাচল করতে পারবে। অনেক সময় আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ঠিক করলেও কিছুদিন পর আবার ভেঙ্গে যায়। তাই সরকারী ভাবে এই জেটিঘাটটি পাকা করে দেওয়া হলে সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট কমে যেত। তিনি আরো জানান, এ ঘাট দিয়ে চলাচলের মত অবস্থা এখন নেই বললেই চলে। তাই এই ঘাটটি পাকা ভাবে র্নিমাণ করার জন্য বাঁশখালীর সংসদ ও বাংলাদেশ অভ্যান্তরিন নৌ পরিবহন কর্তপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যান্তরিন নৌ পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রামের উপ পরিচালক নয়ন শীল জানান, ছনুয়া জেটি ঘাট সংস্কার করার জন্য ইতিমধ্যে ১২ লক্ষ টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। আগামী দুই এক মাসের মধ্যে সংস্কার করা হবে। পাশাপাশি জেটির সাথে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ২ টি দোকান উচ্ছেদ করা হবে।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *