জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্ণিং বডি গঠন সংক্রান্ত ধারার আলোকে বাঁশখালী কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাঁশখালীর কৃতিসন্তান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ড. মো. জমির উদ্দিন সিকদার।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের আদেশক্রমে কলেজ পরিদর্শক স্বাক্ষরিত এক চিঠি গত ৩ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ইস্যু হয়।
উল্লেখ্য, ড. জমির উদ্দিন সিকদার ১৯৭৫ সালের পহেলা জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ গ্রামে। তাঁর পিতা রাজা মিয়া সিকদার ও মাতা শাহজাহান বেগম।
শিক্ষাগত জীবনে তিনি বিকম অনার্স, ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমকম, ভারত থেকে এসবিপিপি, যুক্তরাজ্য থেকে সিএপিপি ও ডিবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া পিএইচডি (এ আই এস) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
তাঁর স্ত্রী ডা. শালিমা সিকদার শিউলী উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
ড. জমির উদ্দিন সিকদার ৯০ দশকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৯০ থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত সাতকানিয়া সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের তুখোড় কর্মী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৯২ থেকে ৯৭ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি ১৯৯৪ সালে গঠিত চট্টগ্রাম সর্বদলীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসেবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীদের ইতিবাচক দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন।
তিনি ২০১২ থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।
২০১৯ সাল থেকে অদ্যাবধি তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা ছাড়াও তিনি একজন মানবিক মানুষ হিসেবে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করেছেন।
অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের দুর্দশায় তিনি প্রাণপণে ছুটে যান; তাদের পাশে দাঁড়ান। তিনি মাসিক আয়ের সিংহভাগ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কষ্ট লাঘবে ব্যয় করেন।
রাজধানী ঢাকা ছাড়াও নিজ উপজেলা বাঁশখালীতেও তিনি নিয়মিত ত্রাণ-সহায়তা দিয়ে থাকেন। মা মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর অগাধ প্রেমে তিনি সহজেই একজন নিরহংকারী ও মানবিক মানুষ হিসেবে সবার প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছেন; এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন।
উত্তরা ১১ নং সেক্টর কল্যান সমিতির উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি ঢাকার সভাপতি, এমবিএ একাউন্টিং এসোসিয়েশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম ফোরাম ঢাকার গবেষণা ও মানবসম্পদ সম্পাদক, নুরউদ্দিন সিকদারবাড়ী জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার সাথে যুক্ত থেকে তিনি সমাজসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি রাজনীতি, ক্যারিয়ার, নেতৃত্ব, শিক্ষা ও তারুণ্য বিষয়ক বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, চীন, স্টকল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডসহ বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন।