বাঁশখালী ( Banshkhali ) আদালতে অসহায় বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি, আইনমন্ত্রীর কাছে খোলাচিঠি
বাঁশখালী ( Banshkhali ) কোর্টে অসংখ্য নিরীহ গরীব মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। মাননীয় আইন মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি সবিনয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ।
৩১/১২/২০১৯ গোলা ভাগের আরজির মামলায় নিষেধাজ্ঞা হয় না জানি, তবু ০১/০১/২০২০ থেকে ১২/০১/২০২০ পর্যন্ত একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা হয়। পরদিন থেকে কোর্ট বন্ধছিল। কোর্ট খুললে শুনানির জন্য সকল ডকুমেন্টসহ তৈরি ছিল বিবাদী পক্ষ। কিন্তু শুনানি শেষ পর্যন্ত হয়নি। বাদী পক্ষ আবেদন করেছিল নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর, তাও করা হয়নি। কিন্তু ধার্য্য তারিখ ছাড়া আজ ২২/ ০৯/২০২০ বাদী পক্ষ গিয়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন।
বাঁশখালী কোর্টে ( Banshkhali Court ) আজ এ মামলার পুটাপ চেয়েছিল বাদী পক্ষের উকিল সাহেব। বিবাদী পক্ষের উকিল সাহেব শুনানির জন্য উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মুভ করার সুযোগ দেননি আদালত। উভয়পক্ষের শুনানি ছাড়া আবেদন কিভাবে মঞ্জুর হলো! শুনছি মুভ করতে না দিয়ে বাদীর পক্ষ একটি অর্ডার করিয়ে নিয়েছে গোপন কৌশলে।
হায়রে আদালত !
বর্তমানে কোর্ট-কাচারি চলমান রয়েছে। শুনানী না করে, বাদী পক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্তন করার সুযোগ না দিয়ে করোনা কালীন সময়ের অজুহাতে জুলুম করা কতটুকু আইনসিদ্ধ ? বিবাদী কোর্টকে উত্তর প্রদান করার পর তা শুনানি না করা হয়রানি ছাড়া আর কি বলতে পারা যায়? শুনানি ছাড়া অহেতুক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো বিবাদীর উপর জুলুম নয় কী?
আমি একজন অধ্যাপক ও পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষ হয়েও হয়রানির শিকার। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষ কি আদৌ আইনের সুষ্টু সুফল পাচ্ছে?
আমি সার্বিক দিক বিবেচনা করে মাননীয় আইনমন্ত্রী, বাঁশখালীর ( Banshkhali ) ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাই- বাঁশখালী আদালতে ( Banshkhali Court ) শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা ও অসহায় আইনসেবা প্রার্থীদের অহেতুক হয়রানি হতে মুক্তি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
নিবেদক,
অধ্যাপক কমরুদ্দিন আহমদ
বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ