মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে সরকারী সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলেও ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাতের অন্ধকার ও মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে তড়িঘড়ি করে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভবন সম্প্রসারণের ছাদ ঢালাই করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।প
সরকার ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে শনিবার (১০ নভেম্বর) সারাদেশে সরকারী -বেসরকারি সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলে ও শনিবার সরকারী নিয়ম ভঙ্গ করে স্কুলের নবনির্মিত ভবনে সন্ধ্যায় মুষলধারে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাতেই কাজটি শেষ করেছে।

বৃষ্টিতে ও রাতে ঢালাই কাজ না করার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছিলো। তা সত্বেও ঠিকাদার কাজটি করেছেন বলে জানা গেছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানান, এ বিভাগের অর্থায়নে চলতি অর্থ বছরে প্রায় ২ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে বাঁশখালী উপজেলা সদরের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা ভবনের ১ তলা সম্প্রসারণ কাজ। ওই নির্মাণ কাজটি পেয়েছেন বাঁশখালী ছনুয়া ইউনিয়নের বজলুর রহমান নামের এক ঠিকাদার।
জেএসসি পরীক্ষার অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি লাভ গুণতে ঠিকাদার ওই কাজটি তড়িঘড়ি করে করিয়েছেন মুষলধারের বৃষ্টিতে ও রাতের আধারে। কাজটি বৃষ্টিতে ও রাতের অন্ধকারে না করতে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হলেও ঠিকাদার এ কথা না মেনেই কাজটি করিয়েছেন। বৃষ্টিতে ঢালাই কাজ করলে সিমেন্ট পানিতে ধুয়ে চলে যায় বলে এ সময় কাজ বন্ধ রাখার নিয়মটিও ওই ঠিকাদার মানেননি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমিত্র সেন এসব অনিয়মের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, ‘সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ঝুঁকি এড়াতে সরকারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও হঠাৎ করে ঠিকাদার কাজটি করেছে, তবে দুপুরের দিকে একটু রোদ দেখা দিলে সন্ধ্যায় তারা ছাদের ঢালাই কাজ শুরু করে তার মাঝেই বৃষ্টি আসে পুনরায়। পরে আমি কাজ বন্ধ রাখার জন্য নিষেধ করলেও তারা তা অমান্য করে এই কাজটি পরিচালনা করেছে।’
সরেজমিনে থাকা উপ সহকারী প্রকৌশলী আরমান হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, জেএসসি পরীক্ষাকালীন সময়ে কাজ করা যায় না মর্মে ঠিকাদার পূর্ব নির্ধারিত সময় মোতাবেক শনিবার পরিচালনা করে।
দুপুরে সামান্য রোদ দেখা দিলে কাজ আরম্ভ হয়, সন্ধ্যার পর ঢালাইয়ের পূর্বে বৃষ্টি নেমে আসে। তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল একদিকে ৯ নং সর্তক সংকেত থাকা কালীন সময়ে ‘কাজটি করা ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার বজলুর রহমান বলেন,
দুপুরে রোদ দেখে আমরা কাজটা করি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে জানিয়ে তাদের উপস্থিতে কাজটি আরম্ভ করি, বেলাশেষে এভাবে বৃষ্টি থাকবে তা কাজের শুরুতে বুঝা যায়নি। তবে, বৃষ্টিতে কাজ করলেও কাজের গুণগত মান খারাপ হয়নি।’