বাঁশখালী টাইমস: সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষকের পদোন্নতি হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাঁশখালী উপজেলার ৫৭ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
বাঁশখালীতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সংবর্ধনা ও সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে এম মোস্তাক আহমেদ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কমরুদ্দিন আহমদ।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ হাজার শিক্ষককে খুব দ্রুত পদোন্নতি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল গত অক্টোবর মাসে। যেসব শিক্ষকরা অস্থায়ী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন তাদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। শিক্ষক নিয়োগ সংশোধনী বিধিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল তখন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি ১২তম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির পদ মর্যাদা হওয়ায় বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগ-পদোন্নতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আওতাভুক্ত হয়ে যায়।
এ কারণে সারাদেশে প্রধান শিক্ষক সংকট নিরসণে গত ২৩মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্যস্থানে জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব অস্থায়ী পদোন্নতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রধান শিক্ষক শূন্য বিদ্যালয়গুলোয় পর্যায়ক্রমে ১৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে অস্থায়ীভাবে পদায়ন করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী ওই ১৫ হাজার অস্থায়ী প্রধান শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়ে স্থায়ী করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে এক কর্মশালায় মন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, খুব শিগগিরই তাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক পদটি পিএসসির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ পদে নিয়োগ-পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হয়। তখন নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় চলতি দায়িত্বে সারাদেশে ১৫ হাজার জেষ্ঠ্য সহকারী শিক্ষককে অস্থায়ীভাবে প্রধান শিক্ষক পদায়ন করা হয়েছে।’