বাঁঁশখালী টাইমস প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র বিমোচনে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে কোডেক-ক্রেল প্রকল্প। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএসএইড এর অর্থায়নে কোডেক-ক্রেল প্রকল্পের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে দারিদ্র বিমোচনে বাঁশখালীর বিভিন্ন অঞ্চলে সামাজিক বনায়ন থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জলদী সহ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
এ উপলক্ষ্যে জলদী সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা বুধবার(২৫ এপ্রিল) সকালে কোডেক-ক্রেল প্রকল্প চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য জলদী সাইট অফিস হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা উত্তম কুমার পাল, চাম্বল বন বিট ও বাঁঁশখালী ইকোর্পাকের (ভারপ্রাপ্ত)কর্মকর্তা আনিসুজ্জান শেখ, নাপোড়া বন বিট কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রউফ মিয়া, পিপলস ফোরাম এর সভাপতি আবু তাহের, পিপলস ফোরামের সহ- সভাপতি জরিনা আক্তার, জলদী সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক জোবাইর চৌধুরী,
দৈনিক ইত্তেফাকের বাঁঁশখালী প্রতিনিধি শফি উল্লাহ, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের,দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি সৈকত আচার্য্য, দৈনিক ডেসটিনি প্রতিনিধি শিব্বির আহমদ রানা, জলদী সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দীন,
সাইট ফ্যাসিলিটেটর কোডেকের ক্রেল প্রকল্প জলদী সাইটের জগদীশ মন্ডল,
কোডেক ক্রেল প্রকল্প চট্টগ্রামের কমিউনিকেশন অফিসার কামরুল ইসলাম,জলদী সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির হিসাব রক্ষক আতিকুর রহমান মানিক প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাঁঁশখালীতে ইউএসএইড এর অর্থায়নে ও ক্রেল প্রকল্পের সহযোগিতায় বনের জমি, গাছপালা, পশু পাখি রক্ষাসহ ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সংরক্ষণে সামাজিক বনায়ন এবং দারিদ্র বিমোচনে কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় ৭টি প্রতিষ্ঠানে বনায়ন করা হয়েছে। তার মধ্যে
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবেলায় ৮টি প্রাতিষ্ঠানিক বনায়ন ও ২কি.মি.
বেড়ীবাঁধ বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। বনের উপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে ক্রেল প্রকল্পের সহযোগিতায় জ্বালানী সাশ্রয়ী ৫০টি উন্নত চুলা প্রদান।
শুষ্ক মৌসুমে বনে আগুন প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মাইকিংও লিফলেট বিতরণ।
শুষ্ক মৌসুমে পানির সমস্যা দূরীভূত করতে জলদী ভিলেজার পাড়া ও পুইছড়ি অফিসটিলায় গভীর নলকূপ স্থাপন।
বাঁশখালী ইকো-পার্কে দর্শনার্থী বৃদ্ধিতে প্রধান সড়কের সাইনবোর্ড সংস্কার।
জলদী সহ- ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রান্ট্স প্রকল্পের সহযোগিতায় মাছ চাষ ও গরু মোটাতাজাকরন সহ এছাড়াও দারিদ্র বিমোচনে হত দরিদ্রদের মাঝে সার, বীজ, কীটনাশক সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ক্রেল প্রকল্পের সহযোগিতায় বাঁশখালীতে প্রথম ড্রাগন ফলের চাষাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে ক্রেল প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি টিম ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেল প্রকল্পের মাধ্যমে শীলকূপ মনকিচর বেড়িবাঁধ এলাকায় দীর্ঘ ২ কিলোমিটার সবুজ বনায়নে প্রায় ৭ হাজার ঝাউ ও বাবলা গাছ গড়ে তুলেছে। এছাড়াও বাঁশখালী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, বাঁশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আম্বিয়া খাতুন ক্রেডেট মাদ্রাসা, মাস্টার নজির কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলজ ও ঔষুধী বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে গড়ে তুলেন। এছাড়াও ড্রাগন ফল চাষাবাদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ১৫ জন কৃষক, ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৪০ জন ও শশা চাষ করছে ২০ জন যাদের বীজ সার সেক্স ফেরোমন ট্রাপ সাপোর্ট দেয়া হয়েছে প্রকল্পের পক্ষ থেকে।