বাঁশখালীর দক্ষিণ সরল ২ নাম্বার ওয়ার্ডে আবুল কালাম পিতা মাষ্টার কবির আহমদ নামের এক ব্যক্তিকে গভীর রাতে আনুমানিক ৩ টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী দল হত্যা করে পালিয়ে যায়। দক্ষিণ সরল ইউনিয়নে হাসান ফার্মেসীতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে রাত তিনটার সময় বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষদর্শী জোনায়েদ সিপ্লাসকে জানায়, রাত অনুমানিক ৩ টার দিকে গুলি করে খুন করা হয় আবুল কালাম মিয়াজীকে। ১ মিনিটের ব্যবধানে চার থেকে পাঁচটি গুলি করে হাসান ফার্মেসীতে আবুল কালাম মিয়াজীকে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জোনায়েদ সিপ্লাসকে আরো বলেন, গভীর রাতে হাসান ফার্মেসীতে গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পাই। তারপর ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় শের আলী পিতা হোসেন আহমেদ, জসিম পিতা দানু, এয়ার আলী, নূর মোহাম্মদ পুতা শামসু, নূর মোহাম্মদসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক গুলি করে আবুল কালাম মিয়াজীকে হত্যা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। হাসান ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী সিপ্লাসকে জানায়, আমার ভাইয়ের ছেলে অসুস্থ তাই আমার ভাই আবুল কালাম মিয়াজীকে ওষুধের জন্য পাঠিয়েছিলাম। আবুল কালাম মিয়াজিকে পাঠানোর পর থেকে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আমার ভাইকে গুলি করে চলে যায় জানা গেছে। আবুল কালাম মিয়াজীর ছোট ছোট দুইটা বাচ্চা সন্তান রয়েছে। তারা হলো হাবিবুল কবির (৭) এবং মাহবুবুল কবির (৩)।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ কামাল হোসেন। এই ব্যাপারে থানায় ডিউটি অফিসার থেকে তথ্য নিতে বলেন ওসি। ডিউটি অফিসার এর সাথে কথা বললে তিনি ও ভিডিও বক্তব্য দিতে রাজি হয় নি। তবে বাঁশখালী থানায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তথ্যগুলো নিশ্চিত হয়। আবুল কালাম এর ঔষধের দোকানের সামনে হোসাইন সড়কের ওপর আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ভিকটিম আবুল কালাম (৩৮) পিতা মাষ্টার কবির আহমদকে গভীর রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভোর ৪.৪৫ টায় বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী থানার কর্মরত এসআই মোঃ আব্দুল কুদ্দুস লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
সূত্র: সিপ্লাস টিভি
