BanshkhaliTimes

বাঁশখালীর সন্তান বরেণ্য সাংবাদিক হুমায়ূন সাদেক চৌধুরী আর নেই

BanshkhaliTimes

তাফহীমুল ইসলাম, বাঁশখালী- বাঁশখালীর কৃতি সন্তান সাংবাদিক ও সাহিত্যিক হুমায়ূন সাদেক চৌধুরী আর নেই- ইন্নালিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় কয়েকদিন আগে তিনি মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা যায়। তার লাশ দাফনের জন্য জন্মস্থান বাঁশখালীর বৈলছড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।

হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী সাব এডিটরদের সংগঠন সাব এডিটর্স কাউন্সিলের দুবার নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের দৈনিক নয়া বাংলা, ঢাকার দৈনিক দিনকাল, দৈনিক আমার দেশ, পাক্ষিক পালাবদলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন। কাজ করেছেন দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক ও অর্থনীতি প্রতিদিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবেও। তিনি জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ছিলেন। তার প্রকাশিত তিনটি বই রয়েছে। বইগুলো যথাক্রমে- এক কিশোরের মন, অচেনা মানুষ অজানা কথা, সারপ্রাইজ।

নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ১৭ নভেম্বর হুমায়ূন সাদেক চৌধুরীর শেষ স্ট্যাটাসটি ছিল এরকম-
চারদিকে কেবল শুনি, ”বাঁচাও, বাঁচাও!!”
কাকে বাঁচাব, কী বাঁচাব?
বন্য প্রাণী বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও, সাপ বাঁচাও, কুত্তা বাঁচাও… এমন আরও কত কী।
কোনোটাতেই আপত্তি নেই আমার। বাঁচার ও বাঁচানোর অধিকার সবার আছে।
কিন্তু হতাশ লাগে তখনই, যখন কেউ বলে না, ”মানুষ বাঁচাও!”
পরক্ষণেই ভাবি, কে বলবে ”মানুষ বাঁচাও!” বন্য প্রাণী, বাঘ, সাপ, কুত্তা কেউ তো দল বেঁধে মানুষকে মারতে আসছে না, সারা পৃথিবীতে মানুষ নিজেই নিজেকে মারছে। তাঁকে বাঁচাতে ডাক দেবে কে, আর সে ডাক শুনবেই বা কে!

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *