আবদুল ওয়াহেদ, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালীর শিক্ষার্থী-শিক্ষকে মুখরিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। অপরূপ সৌন্দর্যের আধার, সবুজ অরণ্যঘেরা, পৃথিবীর একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস। ২১০০ একরের উচ্চ শিক্ষা ও সংস্কৃতির উর্বরভূমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। পাহাড়, সবুজ অরণ্য ও নানান জীববৈচিত্র্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে করে তুলেছে অনন্য। সারাদেশ থেকে অগণিত শিক্ষার্থী এখানে ভীড় করেন উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে। এমনকি দেশের বাইর থেকেও ছুটে আসেন অনেক শিক্ষার্থী। অবশ্য স্বপ্ন পীয়াসুদের এই বৃহৎ তালিকা থেকে বাদ যায়নি আগামীর উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় প্রিয় জনপদ বাঁশখালীও। চবির বুকে দেশ বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত স্বপ্নের পিছু ধাওয়া করছেন বাঁশখালী অঞ্চলের পাঁচ শতাধিক সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণী।
চবিতে বাঁশখালীর শিক্ষার্থী-শিক্ষকে র সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।লেকচারার, প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট প্রধান থেকে শুরু করে প্রক্টর, উপাচার্যের আসনেও আসীন হয়েছেন বাঁশখালীর অসংখ্য হীরের টুকরো। উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ প্রফেসর ইমেরিটাস ও সাবেক চবি উপাচার্য স্যার ড. আবদুল করিম ছিলেন বাঁশখালীর উজ্জ্বল নক্ষত্র। চবিতে যাঁর নামে একটি বিশাল ভবনও রয়েছে। এছাড়া সাবেক প্রক্টর ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী উপদেষ্টা সিরাজুদ্দৌলা স্যা ও চাকসুর সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন মাহিম স্যার সহ প্রায় সকল ডিপার্টমেন্টে ত্রিশ জনের বেশি বাঁশখালীয়ান শিক্ষক বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন।
চবিতে বাঁশখালীয়ানদের সুযোগ সুবিধা ও অধিকার নিশ্চিত করতে বাঁশখালী স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন চবি নামে একটি সংগঠন কার্যকর রয়েছে। কথা হয়েছে BSACU এর সভাপতি রিয়াজুল হাসান হোছাইনির সাথে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সংক্রান্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।তিনি আরো বলেন-সংগঠনে চারশত শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত রয়েছে। এছাড়া অ-তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীও দু’শয়ের কম নয়।শিগগিরই সকলকে তালিকাভুক্ত করে একসাথে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হেঁটে বাঁশখালীর স্বপ্নযাত্রার মিছিলকে সমৃদ্ধ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাঁশখালী থেকে কোন সুবিধা পেয়ে থাকেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান- প্রতিবছর বাঁশখালী থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ফ্রি বাস সার্ভিস, পরীক্ষাকালীন সর্বাত্মক সহযোগিতার পাশাপাশি চান্স পাওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন বাঁশখালীর কৃতি সন্তান ও দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান সিআইপি। এভাবে আরো অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ যদি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান তবে উচ্চ শিক্ষায় প্রিয় জনপদ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আরো পড়ুন – বাঁশখালীতে প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান উদযাপিত