স্বপ্নচারী পথিক: আমার শ্রদ্ধেয় নানা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব মফজল আহমদ চৌধুরী।
সমগ্র বাঁশখালীর মানুষ তাকে একনামে ছিনেন মফজল মিয়া নামে। বাঁশখালী ( Banshkhali ) উপজেলা ৫নং কালীপুর ইউনিয়ন থেকে ৪বার নির্বাচিত ও একবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী, তৎকালীন পাঞ্জাবীরা যখন সাধারণ বাঙ্গালীদের উপর নির্মম অত্যাচার চালায় তখন তিনিসহ তার সঙ্গীরা তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক সাধনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ছমিউদ্দীন।
তার সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধারা এবং তার সহধর্মীনী (নানীর) কাছে যখন শুনি তখন আৎকে উঠি। কী ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছিলেন। একটা রাতও ঘরে থাকতে পারতেন না মরহুম নানাজি। মানুষের মুরগী রাখার ঘরে, ফসলের জমিতে, মানুষের বাড়িতে বাড়িতে আশ্রয় নিতে হতো। পাঞ্জাবীরা তাকে না পেয়ে তার সম্পূর্ণ ঘর পুড়িয়ে দেয়। এখনো সেই স্মৃতি বিদ্যামান রয়েছে।
তাদের সেই ত্যাগ, তিতিক্ষার মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন ভুখণ্ড পেয়েছি। পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। মহান বিজয়ের এই দিনে তিনিসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
মহান আল্লাহ দেশের জন্য তার এই অবদানে তাকে জান্নাত দান করুন।