আরকানুল ইসলাম: শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে বাঁশখালীতে। যদিও শীতের আগমন এখনও লক্ষ করা যাচ্ছে না! বাঁশখালীতে বিশাল এলাকাজুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে প্রচুর শীতের সবজির চাষ হয়। শীত না-এলেও বাজারে আসতে শুরু করেছে মুলা, শীম, শালগম, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শসাসহ অন্য সবজিগুলো।
প্রতিদিন ভোরে রাস্তাজুড়ে এই সবজির পসরা সাজে। থরে থরে সাজানো থাকে এইসব তরতাজা সবজিগুলো, দেখলে মন জুড়ে যায়! বাঁশখালী নাপোড়া, চাম্বল, টাইমবাজার, বৈলছড়ি ও সাহেবের হাট এলাকায় এই সবজিগুলোর পসরা দেখা যায়। চলে বিকিকিনি। চাষীরা ক্ষেত থেকে তুলে এনে রাস্তায় বা বাজার পর্যন্ত আনে, সেখান থেকে শহুরে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায় কিংবা স্থানীয় মধ্যস্বত্তভোগী ক্রেতারা কিছু লাভ করে শহুরে ক্রেতাদের বিক্রি করে দেয়। অনেক সময় চাষীর সামনেই মধ্যস্বত্তভোগীরা বেশি দামে বিক্রি করে দেয়। মূল চাষীরা ন্যায্য দাম পায় না।
প্রতিদিন ট্রাকে করে প্রচুর সবজি চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাঁশখালীতে প্রতিদিন সকালে শীলকূপের টাইম বাজার ও চাম্বল বাজারে বসে মুলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাজার। বৈলছড়ি বাজারে বসে শসা ও মুলার বাজার, গুনাগরী ও সাধনপুর সাহেবের হাট এলাকায় বসে সবজির বাজার। বৈলছড়ি বাজারে পাইকারী হারে মুলা বিক্রেতা বেশ কয়েকজন উৎপাদনকারী এ প্রতিবেদককে বলেন, মুলা ৩০/৩৫ টাকায় বিক্রি করা হয়। খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা তা আরও বেশি দামে বিক্রি করছে।
জানা গেছে, বাঁশখালীতে প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির চাষ হয়। তা থেকে বাঁশখালীর প্রয়োজন মেটানোর পরও চট্টগ্রাম শহরসহ সারাদেশের অনেক প্রয়োজন মেটানো হয়। তবে, চাষীরা আশা প্রকাশ করেন, তারা যেন মধ্যস্বত্তভোগী ছাড়াই সবজি বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পান।