
বাঁশখালী টাইমস: বাংলাদেশে ভাস্কর্য শিল্পের পথিকৃৎ নভেরা আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
তিনি ২০১৫ সালের ৬ মে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে মারা যান। সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।
নভেরা আহমেদ বাংলাদেশের ভাস্কর্যশিল্পের অন্যতম অগ্রদূত। তিনি ভাস্কর হামিদুর রহমানের সঙ্গে জাতীয় শহীদ মিনারের প্রাথমিক নকশা প্রণয়নে অংশগ্রহণ করছিলেন। তিনি শহীদ মিনারের সহ স্থপতি।
দীর্ঘ অন্তরাল জীবনের পর ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে প্যারিসে তার রেট্রোসপেকটিভ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। ১৯৩০ সালে নভেরা আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নে।
পরে অবশ্য নভেরার শৈশব কেটেছে কলকাতায়। নভেরা কলকাতার লরেটা থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। স্কুল জীবনেই তিনি ভাস্কর্য গড়তেন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত ভাগ হয়ে যাওয়ার পর তারা পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুমিল্লায় চলে আসেন। এ সময় নভেরা কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। বাবার অবসরের পর তারা সবাই চট্টগ্রামে গিয়ে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। তাই চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন নভেরা। নভেরা লন্ডনে যান ১৯৫০ সালে। নভেরা এর পরের বছর ক্যাম্বারওয়েল স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটসের ন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন ডিজাইনের মডেলিং ও স্কাল্পচার কোর্সে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে কোর্স শেষ করে ডিপ্লোমা পান তিনি।