BanshkhaliTimes

বাঁশখালীর ঐতিহাসিক স্থাপনা বখশি হামিদ মসজিদ পরিদর্শনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত

BanshkhaliTimes

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী উপজেলা বাহারচড়া ইউনিয়নের ৪৫০ বছরের ঐতিহাসিক বকশি হামিদ মসজিদ সস্ত্রীক পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মেরিন সুহ ও ফ্রান্সের দ্যা ক্রাইসিস অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টারের পরিচালক এরিক সেভালিয়াস।

রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সস্ত্রীক পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি ঐতিহাসিক স্থাপনাটির চারপাশ ঘুরে দেখেন এবং সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন।

ঐতিহ্যের সাক্ষী বখশী হামিদ মসজিদটি ৪৫০ বছরের পূর্বে স্থাপিত হয়েছে। এটি নির্মিত হয়েছে ইট, পাথর ও সুরকি ব্যবহার করে। এই মসজিদটির নির্মাণ কৌশলের সাথে ঢাকার শায়েস্তা খান (আনুঃ ১৬৬৪ খৃঃ) মসজিদ এবং নারায়নগঞ্জের বিবি মরিয়ম মসজিদের (আনুঃ ১৬৮০ খৃঃ) মিল লক্ষ্য করা যায়। মসজিদে রক্ষিত ফলকে আরবিতে লেখা আছে—‘বনাল মাসজিদুল মোকারেম ফি আহমিদ-মুলক, ইসনাদুল মিলাত ওয়াদ্দিন সুলতানুল মুয়াজ্জাম সুলাইমান (কররানি) সালামালাহু আনিল ওয়াফাত ওয়াল বলিয়্যাতি মুরেখাত তিসযু রমজান, খামছুন ও সাবয়িনা ওয়া তিসআতু মিআত হিজরি আলাইহিস সালাম।’

অর্থাৎ এই মসজিদ নির্মাণ হয়েছে সেই বাদশাহর যুগে যাকে উপাধি দেয়া হয়েছে দ্বীন এবং মিল্লাতের সুলতানুল মুয়াজ্জম তথা মহান সম্রাট, আর তিনি হলেন সুলাইমান কররানি (আল্লাহ তাকে বিপদাপদ থেকে মুক্ত রাখুন), তারিখ ৯৭৫ হিজরি সালের ৯ রমজান। যার ইংরেজি সাল ১৫৬৮ সালের ৯ মার্চের সঙ্গে মিলে যায়। শিলালিপির বক্তব্য মতে, এটি সুলাইমান কররানি কর্তৃক প্রতিষ্ঠা করার কথা থাকলেও লোকমুখে বখশী হামিদের নির্মিত মসজিদ বলে পরিচিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী, অলিয়স ফ্রসেস ড. সেলভাস থেরেস, চট্টগ্রাম চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. প্রণব মিত্র চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম, উক্ত বকশি হামিদ জামে মসজিদ ও এতিমখানা কমপ্লেক্সের পরিচালক শাহ সুফি হাফেজ মাওলানা আবদুল মজিদ (দা:ব:), বাহারচরা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

পরিদর্শনের সময় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদুত জ্যাঁ মেরিন সুহ বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক বকশি হামিদ মসজিদটি দেখে সত্যিই আমি আনন্দিত। এটা খুব সুন্দর একটি পুরাতন স্থাপনা। আমি এই সুন্দর মসজিদটির মঙ্গল কামনা করছি।’

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *