বাঁশখালীতে ৭ দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা উদ্বোধন
মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালীতে ৭ দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধনে অর্থ ও পানি সম্পদ মন্ত্রানালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম.পি বলেছেন,বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এ অগ্রযাত্রা কেউ আটকাতে পারবেনা।
এই দেশ স্বাধীনে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যা করেছেন স্বাধীনতার শত্রুরা । যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়া । স্বাধীনতার শক্র রাজাকারদের বিচার কার্যক্রম শুরু করে জাতিকে কলংঙ্খ মুক্ত করতে যাচ্ছে এই সরকার। স্বাধীনতার বিরোধীরা দীর্ঘ ২১ বছর পর দেশ পরিচালনা করে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করেছে । গরীব মেহনতি মানুষের পরিবর্তে তাদের নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বাঙ্গালী জাতিকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। বযষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করেন । দেশে উন্নয়ন চলছে ২০২১ সালের পূর্বেই মধ্যম আয়ের দেশ পরিণত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে সেই হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৫ টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্ভোধন ঘোষনা কলে তিনি ৭ দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন ।
বিজয় মেলার আলোচনা সভা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক নীল কণ্ঠ দাসের সসঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেলা উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র মুক্তিযুদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেলা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ কমান্ডার আবদু রাজ্জাক, মেলা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযুদ্ধা অসিত সেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আবুল হাসেম মানিক ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অধ্যাপক তাজুল ইসলাম।
তাছাড়া মেলায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। সপ্তাহ ব্যাপী এ বিজয় মেলা ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। মেলায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপিসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ অংশগ্রহণ করবেন বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও মেলায় প্রতিদিন থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গুণী শিল্পীরা এই বিজয় মেলায় অংশগ্রহণ করবেন বলে বিজয় উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়।
আরও পড়ুন :