মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালীতে সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কালাম আজাদ ও ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বাঁশখালীর উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই শাখাটি দিন দিন গ্রাহক সংখ্যা কমে যাওয়ার পাশাপাশি এই শাখার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে চরমভাবে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের বাঁশখালী উপজেলার প্রধান শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কালাম আজাদ যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। লিখিত অভিযোগে প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কালামকে একজন অসাধু ও দায়িত্বহীন অফিসার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলা হয়, তিনি গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও কুরুচিপুর্ণ আচরণ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, “গত ২ মাস পূর্বে বান্দরবন শাখা থেকে বদলী হয়ে বাঁশখালী উপজেলা শাখায় তিনি যোগদান করেন। ব্যাংকের অফিসে বসেই চেয়ারে হেলতে দুলতে জোরে জোরে গান গাইতে থাকেন। জরুরী প্রয়োজনে আসা গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ না করে প্রায় সময় আড্ডা ও খোশ গল্পে মগ্ন থাকেন তিনি। তার টেবিলের সামনে সব সময় গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন ও ভিড় দেখা যায়। কোনও গ্রাহক কিছু বলতে গেলেই তাকে গালমন্দ করার পাশাপাশি গ্রাহকদের উপর চড়াও হন এই কর্মকর্তা।”
বাঁশখালী উপজেলা সদরে অবস্থিত এই শাখায় সদ্য যোগদানকৃত এই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাঁশখালী পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল কবির সিকদার, কাউন্সিলর জামশেদ আলম ও কাউন্সিলর রুজিনা আক্তারসহ বাঁশখালীর শতাধিক সচেতন নাগরিক সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় সাংবাদিকদেরও দেয়া হয়েছে।
বাঁশখালী পৌরসভার কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর করা এই অভিযোগপত্রে অবিলম্বে সোনালী ব্যাংকের বাঁশখালী উপজেলা শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা শাখার ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র দত্ত জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, আমাকে কেউ লিখিত বা মৌখিকভাবে কিছুই জানাই নি। তবে লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ হাতে পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।