বাঁশখালীতে লবণ উৎপাদন শুরু, কৃষকের মুখে হাসি

বাঁশখালীতে লবণ উৎপাদন শুরু, কৃষকের মুখে হাসি

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় বিভিন্ন ইউনিয়নে চিংড়ি ঘের গুটিয়ে লবণের ব্যাপক উৎপাদন শুরু হয়েছে।

গত অর্থ বছরে লবণের ব্যাপকহারে দাম পাওয়ায় চাষীদের এবারও লবণ উৎপাদনে উৎসাহ বেড়ে গেছে। ফলে চাষীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে লবণমাঠ তৈরীর দিকে ঝুকে পড়েছে। মজুদকৃত লবণ বিক্রির পাশাপাশি লবণমাঠ তৈরীরও ধুম পড়েছে। বিগত দিনের লবণগুলো মজুদদাররা ৫-৬ টাকা কেজির লবণ এখন খুচরা বাজারে ২০-২৫ টাকার উপরে। পাইকারী বাজারও বেশ চড়া। এই দাম বাড়ার ঘটনায় চাষীদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসি।

ভাল দাম পাওয়ায় লবণ চাষীরা এখন খুবই আনন্দিত। চাষীদের মজুদকৃত লবণ বিক্রির ধুম পড়েছে সর্বত্র। বর্তমানে লবণ চাষীরা প্রতিমণ লবণ ৬শ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রি করছে। দেশের কক্সবাজার এবং খুলনার পর চট্টগ্রামের একমাত্র বাঁশখালীতেই লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে। বাঁশখালীতে ছনুয়া, গন্ডামারা, সরল, পশ্চিম মনকিচর,কাথরিয়া,খানখানাবাদ (আংশিক) এলাকার লবণ উৎপাদন হয়। চাষীরা মোটামুটি পর্যায়ে লবণের দাম পেলেও এবং চাহিদা কম থাকায় বেশ কিছু লবণ ব্যবসায়ী লবণ মজুদ করে রাখে। সম্প্রতি সময়ে এই লবণের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীরা মজুদকৃত লবণ বিক্রির ধুম পড়ে গেছে তাদের মাঝে।

এ ব্যাপারে ছনুয়া এলাকার লবণ ব্যবসায়ী আবু ছৈয়দ বাঁশখালী টাইমসকে জানান, পূর্বের চেয়ে হঠাৎ করে লবণের দাম ৬শ থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীরা তাদের মজুদকৃত লবণ চড়া দামে বিক্রি করছে। সামনে এই দাম স্থায়ী নাও পেতে পারে এই আশংকায় চাষীরা তাদের মজুদকৃত লবণ তড়িগড়ি করে বিক্রি করে দিচ্ছে। ছনুয়া এলাকার লবণচাষী ইয়াছিন, মোজাফ্ফর, আরিফ, নুরু জানান, লবণের চাষ এবারো প্রতিবছরের ন্যায় খুব ভাল হয়েছে।
সরকার যদি বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত এসব লবণ দেশের সর্বত্র রপ্তানিতে সহযোগিতা করেন তাহলে এখানকার লবণ চাষীরা আরো বেশী উপকৃত হবে।

তারা এই লবণ শিল্প রক্ষা এবং মানসম্মত লবণ উৎপাদনে সরকারকে আরো বেশী মনযোগী হওয়ার আহবান জানান।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *