আবু ওবাইদা আরাফাত: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন। চক্ষু, গাইনি, ডায়াবেটিস, শিশুরোগ ও সাধারণ চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করা হয়।
যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও অর্থায়নে উপজেলার এম. আনোয়ারুল আজিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত শনিবার সকালে যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী, যমুনা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান আজিম দোলন, বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীন, সমাজসেবী এম আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যমুনা ব্যাংকের নির্বাহী কমিটি ও যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ বলেন- ‘মানুষের সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা হলো মানবসেবায় শামিল হওয়া। আমরা শুধু ব্যবসা নয়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকাকে দায়িত্ব মনে করি। সিএসআর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় যমুনা ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা দেশব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বয়স্ক শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষাসহ বহুবিধ সেবামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। আমার খুব প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র অত্র এলাকার কৃতিসন্তান মোহাম্মদ আলীর আমন্ত্রণে আমরা এখানে এসেছি। আগামীতেও আমরা এই এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প, বয়স্ক শিক্ষাসহ আমাদের সকল সেবামূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে হাজির হবো ইনশা আল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী বলেন- ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবলিটি সিএসআর খাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে চলেছে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন। আমাকে ভালোবেসে তাঁরা আমার এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আমার মরহুম বড় ভাই এম আনোয়ারুল আজিম অত্র এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। আমরাও সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
দিনব্যাপী এই ক্যাম্পে ৭ টি বুথের মাধ্যমে ৩ হাজারের অধিক রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা, ঔষধ বিতরণ ও প্রায় ৪০০ চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর বাঁশখালী মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে চক্ষু রোগীদের অপারেশন করা হবে বলে জানা গেছে।