নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নিমতলা এলাকায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার পূর্বেই জোরপূর্বক রাতের আঁধারে নতুন স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোনও মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয় জনসাধারণ। জানা যায়, শেখেরখীল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত ফেরদৌস আহমদ চৌধুরীর পিতা মৃত তাজর মুল্লুকের ক্রয়কৃত ১৪৪ শতক জায়গা নিয়ে তাদের ওয়ারিশ রাজিবুল কাদের চৌধুরীর সাথে একই এলাকার জামাল উদ্দীন গংদের বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে বিজ্ঞ বাঁশখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে জামাল উদ্দীন গংদের বিরুদ্ধে অপর-২৫৯/১৬ ইং মামলা চলমান রয়েছে।
এদিকে মামলার বিবাদী জামাল উদ্দীন গংরা বিরোধীয় ওই জায়গায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে অপর একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের দায়েরকৃত ওই মামলাটি খারিজ করে দেন। এরই মধ্যে জামাল উদ্দিন গংরা গত বুধবার (২৫) গভীর রাতে স্থাপনা নির্মাণ করে বিরোধীয় জায়গাটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শেখেরখীল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত ফেরদৌস আহমদ চৌধুরীর পুত্র রাজিবুল কাদের চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার নানা মৃত তাজুর মুল্লুক একই এলাকার মৌলভী ওয়াহেদ ও আবদুল খালেক হতে ১৪৪ শতক জায়গা খরিদ করেছিল। আমার নানা তাজুর মুল্লুক ও আমার পিতা ফেরদৌস আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাদের ওয়ারিশ হিসেবে ওই জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে আছি আমরা। সম্প্রতি আগামী ১৫ জুন বাঁশখালী উপজেলার ১৪ ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচনে আমার ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা আমাদের জায়গায়টি দখল করে ঘর নির্মাণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ওই জায়গায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও তারা গভীর রাতে স্থাপনা নির্মাণ করে জায়গাটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায় জামাল উদ্দীন গং।’
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘রাজিবুল কাদের চৌধুরী গংরা তাজর মুল্লুকের ওয়ারিশ হিসেবে ওই জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে রয়েছে। বর্তমানে জামাল উদ্দিন গংরা স্থাপনা নির্মাণ করে জায়গাটি দখলের চেষ্টা চালায়। তাই এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যেকোন মুহূর্তে শান্তিভঙ্গের আশংকা রয়েছে।’ এ বিষয়ে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে মত প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় জনসাধারণ। এ বিষয়ে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণ কারী জামাল উদ্দিনের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহিত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।