আবু ওবাইদা আরাফাত, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালীতে আল আমিন সংঘের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণী, গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষক সম্মাননা। ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে চলমান বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত স্বর্ণপদক বৃত্তির ১২তম আসরে বাঁশখালীসহ পেকুয়া, কুতুবদিয়া, আনোয়ারা, সাতকানিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
আজ ২১ অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বাঁশখালী পৌরসভাস্থ গ্রীনপার্ক কমিউনিটি সেন্টারে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীজন হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য, বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া এবং বিশিষ্ট শিক্ষক প্রশিক্ষক ও লেখক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন শিশির।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, শীলকূপ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কায়েশ সরোয়ার সুমন, বড় বাজার শপিং মলের প্রোপ্রাইটর মো. এনামুল হক প্রমুখ।
এতে অধ্যক্ষ হিসেবে সম্মাননা লাভ করেন বাঁশখালী সরকারি আলাওল কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ সোলায়মান, বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফারুক, মাস্টার নজির আহমেদ কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল কাদের, বাঁশখালী গার্লস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন আকতার।
এতে শিক্ষক সম্মাননা লাভ করেন পাঠানটুলী খান সাহেব সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মিহির কান্তি ধর, চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মো. রেজাউল করিম, বাঁশখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল্লাহ, বাঁশখালী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম তাহেরুল ইসলাম, বাঁশখালী কিন্ডারগার্ডেন এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের।
বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত স্বর্ণপদক বৃত্তির পরিচালক জহির উদ্দীন মজুমদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীজন, সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষক, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ বাঁশখালীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন-‘বেগম রোকেয়া ছিলেন এ দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। তাঁর নামে চট্টগ্রামজুড়ে রোকেয়া স্বর্ণপদক বৃত্তির আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয় উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি সমাজে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার গুরুত্ব আলোকপাত করেন বক্তারা। মাদকদ্রব্য গ্রহণ, ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি আসক্তি ও কিশোর অপরাধের নাগাল থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার প্রতি অভিভাবকদের সচেতন করেন বক্তারা।