
মু. মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে ১০ দিনের অঘোষিত ‘লকডাউন’ জারি করেছে সরকার। এর ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র দিনমজুরেরা। কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের।
চট্টগ্রামে করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া এ রকম দরিদ্র দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে অস্বচ্ছল, দিনমজুর ও হতদ্ররিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউএনও মোমেনা আক্তার।
আজ থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশনের উদ্যোগে এই উপজেলায় প্রাথমিক ভাবে ১৪ শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে জানা যায়। সে ধারাবাহিকতায় শনিবার ২৮ মার্চ বিকাল থেকে সরল ইউপির জালিয়াঘাটা এলাকায় অস্বচ্ছল ও হতদ্ররিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, সাবান ও লবণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ও পণ্য বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী, পিআইও আবু কালাম মিয়াজী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র সরকার, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, বাঁশখালীতে একজন মানুষও যাতে অভুক্ত না থাকে সে জন্যে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে এই উপজেলার হত দরিদ্র দিনমজুর ১৪ শত পরিবারকে আমরা খাবার পৌঁছে দেবো। এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছি। কাউকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাওয়ার দরকার নেই। যদি কারো বাসায় খাবার সংকট হয়, আমরা খবর পেলে নিজেই ত্রাণ দিয়ে আসবো। বাঁশখালীতে কেউ অনাহারে থাকবে না। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশক আমাদের এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
Please try to help the poor helpless fishermen of 3no Khankhanabad Union. Thank you