মোঃ রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ : দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালীতে একক আধিপত্য বিস্তার করেই চলেছে বাস মালিক সমিতি। ২০ বছর ধরে তাদের দুটি বাস সার্ভিস
(স্পেশাল সার্ভিস ও সুপার সার্ভিস) বাঁশখালীতে শাসন করেই যাচ্ছে। যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছামত অতিরিক্ত ভাড়া। যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়ার নেওয়ার প্রতিবাদ করলে তারা যাত্রীদের গায়ে হাত তুলতেও কার্পণ্য করে না।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বাঁশখালী থেকে বেশি দূরত্বের জায়গায় ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০টাকা অার বাঁশখালীতে এর চেয়ে কম দূরত্বের ভাড়া নেওয়া হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
যাত্রীদের ক্লোজডোর-রিজার্ভ বলে টিকেট ধরিয়ে দিয়ে লোকাল করে চলে এই সার্ভিসগুলো। যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করলে চড়াও হয়ে অাসে ড্রাইভার-হেলপার।
তারা বিভিন্ন সময়ে সরকারী কর্মকর্তা, ব্যাংকার, কলেজ, স্কুলের শিক্ষকদের উপরেও হাত তুলেছিল।
বাঁশখালীতে যেখানে ২০০ গাড়ি প্রয়োজন সেখানে তারা ৫০টা ভাঙ্গাচোরা এবং যাতায়াতের অযোগ্য বাস-সার্ভিস দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে।
বিভিন্ন বাস কোম্পানি বাঁশখালীতে নতুন বাস সার্ভিস নামাতে চাইলেও পরে বাঁশখালী বাস-মালিক সমিতির অদৃশ্য ক্ষমতার কাছে হেরে যায় এবং দুই পক্ষের মধ্যে একটা অদৃশ্য চুক্তি হয়ে যায়।
বর্তমানে বাঁশখালীর উপর দিয়ে এস-অালম বাস-সার্ভিস ও সাইনলাইন বাস-সার্ভিস চলাচল করলেও তাতে বাঁশখালীতে যাত্রী উঠা-নামা নিষেধ।
অানোয়ারা, চকরিয়া, পেকুয়া,
মহেশখালীর যাত্রীদের জন্য এইসব সার্ভিস উম্মুক্ত। কিন্তু ঐসব বাস-সার্ভিসে বাঁশখালী যাত্রীদের অারোহন করা নিষেধ করা হয়েছে।
এই বিষয় জানতে চাইলে বাঁশখালীর একজন সিনিয়ার নেতা বলেন, শুনেছি বাঁশখালী বাস-মালিক সমিতির অনেক পাওয়ার এবং তারা অানোয়ারা বাস-মালিকের সাথে যুক্ত। তাদের সাথে বিভিন্ন মন্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। তারা খুব পাওয়ারপুল।
তিনি অারো বলেন, বাঁশখালীর বাস-মালিক সমিতির এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে চাইলে মাননীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। একমাত্র তিনিই পারবেন এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে বাঁশখালীর মানুষকে মুক্তি দিতে।
এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গবে কখন? কখন মুক্তি পাবে বাঁশখালীর মানুষ? কখন ফেলবে স্বস্তির নিশ্বাস? সেই অাশায় বসে অাছে ছয় লক্ষ বাঁশখালীবাসী।