মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালীর প্রধান সড়কসংলগ্ন দক্ষিণ জলদী মনছুরিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে উত্তর দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী মাল বোঝাই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে গত ৯ অক্টোবর শাহিদা আক্তার (১৪) ও মোরশিদা আক্তার মুন্নি (১৪) নামে রঙিয়াঘোনা ফাজিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
২ মাদ্রাসাছাত্রী নিহত হওয়ার শোক না পুরাতে পুনরায় একই সাথে ১ দিনের ব্যবধানে আজ মঙ্গলবার বিকালে আবারো ২ বাঁশখালী স্পেশাল সার্ভিস ও সুপার সার্ভিসের মধ্যে ওভারটেক করতে গিয়ে ৫ টি সিএনজি, ১ টি ট্রলি গাড়িকে দুমড়ে মুষড়ে ফেলে।
এতে অন্তত ১৭ জন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের মধ্যে কালীপুর এলাকার খোকন শীলের পুত্র বিমল শীল (৩২) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। অন্যদেরকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে পাইরাং এলাকার আমির হোসেনের পুত্র মানিক (১৮), দক্ষিণ জলদী এলাকার মোঃ এমরানের পুত্র মোঃ সোহেল (৩০), শীলকূপ এলাকার গুরামিয়ার পুত্র মোনাইফ (২৬), পূর্ব চাম্বল এলাকার মোঃ দেলোয়ার(৫০), পূর্ব পাইরাং এলাকার প্রবীর গুহর পুত্র আশিষ (১৪), একই এলাকার দয়াল দের স্ত্রী লক্ষী রানী (৪৮), বিপুল দের স্ত্রী মমতা, বিপুল দের পুত্র দয়াল, লিটনের স্ত্রী টুম্পা (৩০), সাধনের স্ত্রী আরতি (২৫), কুতুবদিয়া এলাকার নজির আহমদের পুত্র আব্বাস উদ্দীন(৪৫), মনজুর আলী ( ৪২), গন্ডামারা এলাকার জমির উদ্দীনের স্ত্রী জোবাইদা (২৮), তার মেয়ে ইফাতসহসহ (৮) অনন্ত ১৭ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকাবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় উত্তেজিত জনতা বাঁশখালী সুপার সার্ভিস চট্টমেট্রো-জ (০৫-০২১৬) গাড়িকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।