মু. মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি গত মঙ্গলবার ও বুধবার (৭ ও ৮ এপ্রিল) নিজ কর্মস্থল বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম শহরে নিজ বাসায় ফিরে যান।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা এই চিকিৎসকের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পজিটিভ আসায় এমএম টাওয়ার নামে ১০ তলা ভবনটি লকডাউন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রমতে শনাক্তকৃত ওই চিকিৎসক বাঁশখালী উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন । গত বুধবার (৮ এপ্রিল) তিনি করোনার উপর্সগ নিয়ে বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রাম শহরের নিজ বাসায় ফিরে যান। এদিকে রাতে খবরটি বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বাঁশখালী উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমনো আক্তারের নেতৃত্বে উক্ত চিকিৎসকের বৈলছড়ি গ্রামস্থ নিজ বাড়ি, দুই রোগীর বাড়ি ও পৌর সদরের মনছুরিয়া এলাকায় ডাক্তারের এক আত্মীয়ের বাড়ীসহ ৪টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এছাড়া চাম্বল বাজারস্থ বাঁশখালী ন্যাশনাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করেছে। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ নাছের বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- ‘উক্ত চিকিৎসক গত ৭ এপ্রিল আধ ঘন্টা ভিজিটে ছিলেন তাই আমরা সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালের ডাক্তার-কর্মকর্তাসহ ৭ জনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছি এবং ১৪ দিন হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। আগামী ২২ এপ্রিল যথারীতি সেবা চালু হবে।’
এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়া উক্ত চিকিৎসক গত বুধবার ৮ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে র্কমরত ছিলেন, এর পূর্বে ৭ তারিখে চাম্বল ইউনিয়নের ন্যাশনাল হাসপাতালে কর্মরত থাকায় আমরা উক্ত বেসরকারী হাসপাতালের কর্মকর্তা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ৪টি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গতরাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- ‘আক্রান্ত চিকিৎসকের সাথে আমার কথা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসার কোন ত্রুটি যাতে না হয় সেভাবে নির্দেশ দেয়া আছে। কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকাস্থ যে বাসায় থাকতো সে ভবন লকডাউনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ সকালে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধানী আক্রান্ত চিকিৎসক বলেন- ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সবাই দোয়া করবেন।’