মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: উপজেলার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আদর্শ গ্রাম এলাকার দিঘীর পাড়া এলাকার পিইসিই পরীক্ষাকেন্দ্রে (৫ম শ্রেণীর) পরীক্ষা চলাকালীন অবস্থায় এক পরীক্ষার্থী সন্তান প্রসব করেছে। আজ রবিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাঁশখালী সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী দিঘীর পাড়া এলাকার আদর্শ গ্রামের ১৩৪নং পূর্ব জলদি আদর্শ গ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী স্থানীয় চা দোকানদার মো. নুরুল আলম (কালু) এর কন্যা ফাতেমা বেগম (১৩) নামে এক পরীক্ষার্থী পরিক্ষা চালাকালীন সময়ে ফাতেমার পেট ব্যথা করলে ডিউটিরত এক শিক্ষিকা তাকে আলাদা কক্ষে পরিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু অবস্থা খারাপ দেখে মেয়ের মা ও বাবাকে তারা খবর দেয়। ওখানেই
ফাতেমা কন্যা সন্তানের প্রসব করে। কেন্দ্রের শিক্ষকদের সহায়তায় পরবর্তীতে তাকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে আনা হয়।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী মফজল আহমদের পুত্র নেজাম উদ্দীন, উলা মিয়ার পুত্র মান্নান, আজিজ আহমদের পুত্র মিনার প্রকাশ (সোনা মিয়া) তারা উভয়ই বিভিন্ন সময়ে ফাতেমাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। মেয়ের মা বলেন, এ বিষয়ে মেয়ে আমাদেরকে কোন কিছু আগে থেকে জানায়নি ভয়ে। এ ঘটনায় ধর্ষক প্রতিবেশী ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করেন ধর্ষিতার মা ও বাবা।
ধর্ষিতা শিশু ফাতেমার সহপাঠী শারমিন আক্তার ও তসলিমা ঘটনার সাথে জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চায়। আমরা তার পেট বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কিছুই বলতো না।
গাইনী কনসালটেন্ট রোজিনা আক্তার, বাঁশখালী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিইসিই পরীক্ষাকেন্দ্রে মেয়েটির বাচ্চা প্রসব হলে উক্ত কেন্দ্রে ডিউটিরত শিক্ষিকা বিষয়টি চোখে পড়লে সাথে অন্য শিক্ষিকাদের সহায়তায় নবজাতক এবং ছাত্রীটাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তিনি জানান, মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় শারীরিকভাবে সে সন্তান প্রসবের উপযুক্ত ছিল না। পরবর্তীতে আমরা তাদের ট্রিটমেন্ট করি। বর্তমানে মা মেয়ে দুইজনই সুস্থ আছে।
- বাঁশখালী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক নেজাম উদ্দিনকে আটক করেছে বলে জানান। অপর দুই ধর্ষক পলাতক আছে।