বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নৈরাজ্য, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নাই। বকেয়া বিল আদায়ের নামে প্রতি দিন শত শত গ্রাহকের লাইন কেটে দিচ্ছে। কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই। গতকাল জলদি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখি জনতার হাহাকার। তখন ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা করলাম। এক ৮০ বছর উর্ধ্বে মহিলা তার এক নাতির সাহায্যে বিদ্যুৎ অফিসে আসে লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ জানাতে। তার কাছে নাকি ৩০০ টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। সে বৃদ্ধ মহিলা বলছে তার বিল বাকি নাই। এখন এ বৃদ্ধ মহিলার বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুতের লোকে। আমি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম এর সাথে কথা বললাম ঐ মহিলার কি হবে? তার সংযোগটি কি চালু করা যায় না? তার প্রতি উত্তরে ডিজিএম বললো সংযোগ পাওয়ার জন্য তাকে ১২০০ টাকা জমা করিতে হইবে। ঐ বৃদ্ধ মহিলার কথা বাদ’ই দিলাম তার না হয় বিদ্যুৎ অফিসের হিসেবে ৩০০ টাকা বকেয়া আছে সে জন্য (৩০০+১২০০) =১৫০০ টাকা (পনের শত টাকা) দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ নিতে হবে। এভাবে দেখি শত-শত লোকের হাহাকার প্রতি নিয়ত। কারো কাছে ৫০০টাকা আবার কারো কাছে ৭০০টাকা আবার কারো কাছে ১০০০টাকা বকেয়া আছে। তাদের লাইন ও কেটে দিয়েছে। এই বকেয়া পরিশোধের পরেও প্রতি লাইনের জন্য প্রত্যক গ্রাহকের কাছ থেকে আবার ১২০০টাকা (বারশত) করে নিচ্ছে। এই ভাবে বকেয়া আদায়ের নামে বাঁশখালী উপজেলার হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে কাটা লাইন সংযোগ বাবদ প্রতি জনের কাছ থেকে ১২০০টাকা করে নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ অনিয়মের বিরুদ্ধে বাঁশখালীর সচেতন সমাজ, দলমত নির্বিশেষে সকলকে পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে রাজপথে বজ্রকন্ঠে আন্দোলনে নামতে হবে। বাঁশখালী উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
# আজকের নির্বাচিত ফেসবুক পোস্ট
লিখেছেন- ফজলুল কাদের, সমাজকর্মী