মু. মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সন্দেহে বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈলগাঁও ১ নং ওয়ার্ডের দমদমা দিঘীর পাড় এলাকায় করোনা সন্দেহে মৃত এক নারীর পরিবার ও আশপাশের ২ টি বাড়ি লকডাউনসহ তার সংস্পর্শে আসা ২৮ ব্যক্তিকে সোমবার (২০ এপ্রিল) রাত ৮ টায় হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাধনপুর বৈলগাঁও ১ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহমানের স্ত্রী ছলিমা বেগম (৫৫) পেট ব্যথা, জ্বর, সর্দি, কাশি ও কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। রবিবার সকালে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকগণ তাকে করোনাভাইরাস সন্দেহে চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের (কোভিড-১৯) ওয়ার্ডে ভর্তি করানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করলে তারা তাকে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে না নিয়ে সোজা নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সোমবার সকাল ৬ টায় তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে ১১ টায় তার নামাজে জানাযা শেষে পার্শ্ববর্তী নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল থেকে বাঁশখালী প্রশাসনের কাছে তথ্য আসে যে, করোনা রোগী সন্দেহে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে পালিয়ে চলে আসে। অন্যদিকে সকালে করোনা সন্দেহে নারীর মৃত সংবাদ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত নারীর পরিবার, আশপাশের ২টি বাড়ি ও নিহতের সংস্পর্শে যাওয়া ২৮ সদস্যকে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করে।
এ বিষয়ে সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা বলেন, পেটব্যথা ও কিডনি সমস্যা নিয়ে এক নারীকে তার পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে করোনা সন্দেহে (কোভিড-১৯) ওয়ার্ডে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। তারা ভয়ে তাকে সেখানে (কোভিড-১৯) ওয়ার্ডে ভর্তি না করিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সকালেই তার মৃত্যু হয়।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম হাসপাতাল থেকে করোনা সন্দেহে এক নারী রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে পালিয়ে আসার খবর আসে প্রশাসনের কাছে। পরবর্তীতে সকালে তার মৃত্যু ও জানাযা হওয়ার খবর পেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা রাতেই ২ টি বাড়ি ও তার পরিবারের ২৮ জন সদস্যকে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করি।
কথা টি কি আসলে সত্যি