BanshkhaliTimes

বাঁশখালীতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে প্রশাসনের অভিযান: ২ প্রবাসী ও ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

মু. মিজান বিন তাহের: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিশেষ করে মুদি ও চাউলের বাজারে। ক্রেতাদের অভিযোগ, যে চাউল প্রতি বস্তা কয়দিন আগেও তারা ১৬/১৭ শত টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন এখন সেটা ক্রয় করতে হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২২শত টাকায়।
অপরদিকে বাজারে সবজি থেকে শুরু করে সকল ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে অতিরিক্ত। আলু কেজি প্রতি ২৫/৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে কয়দিন আগেও। সেই আলু র্বতমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪৫ টাকা দরে। একইভাবে প্রত্যেকটা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ব্যবসায়ীরা নিচ্ছে নিজেদের মর্জিমতো।কোনো ধরনের মূল্যতালিকাও নেই বাঁশখালীর হাটবাজারগুলোতে। ফলে সাধারণ জনগণ একদিকে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন অপরদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বেসামাল হয়ে পড়েছে। বাঁশখালীর চাউল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিজেদের মতো করে দাম বৃদ্ধি করেছে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেলে দোকান বন্ধ রেখে পালিয়ে যায়। সোমবার চাম্বল বাজারে মেসার্স আবু তাহের স্টোর ও মেসার্স জসীম স্টোর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আগের চেয়ে বেশি নেয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী দু’টি দোকান বন্ধ করে দেন। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ বড় ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর আগে থেকে পেয়ে দোকান বন্ধ রাখে। ফলে এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। এদিকে সোমবার ও মঙ্গলবার বাঁশখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও সহকারী (ভূমি ) আতিকুল ইসলাম ও বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার সহ একটি টিম বাঁশখালীর সর্বদক্ষিণের নাপোড়া পুইঁছড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কোনো জিনিসের অতিরিক্ত দাম না নেয়ার জন্য সকল ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়। তারা শীলকূপ ইউনিয়নের টাইম বাজারে দুইটি চাউল ব্যবসায়ী ও এক মুদির দোকানদার কে দ্রব্যমূল্যের অতিরিক্ত দাম নেয়ার দায়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অন্য দিকে কোয়ারেন্টন না মেনে ঘরের বাইরে ঘুরাফেরা করার দায়ে ২ প্রবাসীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে কয়েকটা দোকান বন্ধ পাওয়া গেছে। নিশ্চয়ই তারা অনিয়ম করেছে।’ তবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘বাঁশখালীর সব জায়গায় পর্যায়ক্রমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। কোনো ব্যবসায়ী যদি অতিরিক্ত দাম নিয়ে থাকে এবং তা প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *