মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালীতে উপকূলীয় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্থানচ্যুত জনগোষ্ঠী স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন সংগঠন ইপসার – ইয়ং পাওয়ার ইন স্যোশাল এ্যাকশনের উদ্যোগে জলবায়ুতে স্থানাচ্যুত মানুষের অধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হল রুমে ইপসার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর প্রবাল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: আব্দুল মুমিন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-প্রকৌশলী মনিরুজ্জমান দেওয়ানজী।
সাংবাদিক ও সমাজকর্মী কল্যাণ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইপসার রিচার্জ এন্ড মনিটরিং অফিসার মোরশেদ হাসান। কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন যুগান্তর প্রতিনিধি শফকত হোছাইন চাটগামী, সংগ্রাম প্রতিনিধি মো: আব্দুল জব্বার, ইত্তেফাক প্রতিনিধি শাহ মো: শফি উল্লাহ, প্রথম আলোর প্রতিনিধি হিমেল বড়ুয়া, দৈনিক মানব কন্ঠ প্রতিনিধি মিজান বিন তাহের, ইউপি সদস্য দিদারুল আলম, এন.জি.ও কর্মী মোরশেদ আলম, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইয়াছিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, বাঁশখালী একটি দুর্যোগ প্রবন এলাকা, প্রতিটি দুর্যোগে বাঁশখালীর মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে এই এলাকার জনগণ নানাভাবে স্থানাচ্যুত হতে বাধ্য হয়। বাঁশখালীর বিভিন্ন ছড়াগুলো সংস্কার করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে এবং জনগণ অনেকটা স্বস্তি পাবে।বিগত বছরে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে ২৫২ টি ঘর তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চাম্বল ইউনিয়নে আমরা আরো ৩ টি আশ্রায় প্রকল্প গ্রহন করা জন্য প্রস্তাব পাটিয়েছি। পুকুরিয়া তেচ্ছিপাড়া গ্রামে নদী ভাঙ্গনের কবলে যাদের ঘর বাড়ি বিলীন হয়েছে তাদের যদি অন্য জায়গাই গিয়ে বসবাস করার মত ব্যবস্থা না থাকে তাহলে তাদেরকে আমরা কালীপুর আশ্রায়ন প্রকল্পে নিয়ে তাদের থাকার ব্যবস্থা করব।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাঁশখালীর উপকূলীয় জনগণ স্থানাচ্যুত হচ্ছে। যার ফলে বাঁশখালীতে আরো আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত দিনে বাঁশখালীতে ইপসা যে সব কর্মকান্ড করেছে তা জনগণের উপকার সাধন হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংগঠনগুলো এভাবে এগিয়ে আসলে সকল সমস্যা নিরসন করা সম্ভব হবে।