মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালী উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। বাঁশখালী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের আস্করিয়া পাড়া এলাকার মনির আহমদের পুত্র ওমান প্রবাসী ওবাইদুলের সাথে একই এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে আমেনা বেগম (১৯) সাথে পারিবারিকভাবে বিগত ৩ মাস পূর্বে তাদের বিবাহ হয়। আমেনা বেগম বাঁশখালী আলাওল ডিগ্রী কলেজের মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী।
নিহতের মা নুরুন নাহার বেগম বলেন, ওমান প্রবাসী ওবাইদুল হক বিগত তিন মাস পূর্বে বিবাহের পর থেকে স্ত্রী কে নিয়ে আমার বাড়িতেই থাকতেন। আমি নিজেও ডায়াবেটিস রোগী। আমার বাড়িতে শুধু আমরা তিন জনই ছিলাম। শনিবার (১৮ আগস্ট) ভোর রাত ১ টার দিকে আমার অসুস্থতা লাগলে আমি মেয়েকে ডাকি। তখন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই দুইজনই আমার কাছে আসে। তখন তারা দুইনই এসে আমাকে পানি খাবান। মেয়ের জামাই আমার পাশে বসা অবস্থায় মেয়ে বাথরুমে যায়। বেশ কিছুক্ষণ যাবত বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় আমি তাকে ডাকাডাকি করলে তার কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় আমি এবং তার স্বামী দুইজনই গিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কর্তরত চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে আমরা তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তৌহিদুল আনেয়ার বলেন, গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা আমেনা বেগমের গলায় এবং হাতে আঘাতের চিহ্ন থাকায় আমরা পুলিশে খবর দিয়। পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
এদিকে মৃত্যুবরণকারী কলেজ ছাত্রীর পোস্টমর্টেম ছাড়া লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকার কয়েকশ লোক থানায় জড়ো হয় এবং পুলিশ যে এ্যামবুলেন্স করে চমেকে প্রেরণ করছে তাতে ও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য প্রেরণ করে।
এ দিকে বাঁশখালী থানার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, আমেনা বেগমের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশের পক্ষ থেকে লাশ পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করা হয়। অথচ অযুক্তিক ভাবে এলাকাবাসী ও কতিপয় কিছু কলেজ ছাত্র-ছাত্রী এসে লাশ পোস্টমর্টেমে বাধা প্রদান করে।