মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বৈশ্বিক করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মক্ষয় মানুষেরা ঘরবন্দী জীবন পার করছেন। কেউবা কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন। কিন্তু এই দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যেও বসে নেই বাঁশখালী সাধনপুরের পল্লী চিকিৎসক মোঃ রমিজ আহমদ । করোনা ঝুঁকির মধ্যেই তিনি দিনরাত মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ গ্রামডাক্তার ঐক্য কল্যাণ সৌসাইটি বাঁশখালী শাখা সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় তিশ শতাধিকের অধিক পল্লী চিকিৎসক রয়েছেন। তারা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই মানুষকে সচেতন করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শসহ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহ করতে পারলেও বেশির ভাগেরই তা নেই।
বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার ঐক্য কল্যাণ সৌসাইটি বাঁশখালী শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ মোঃ রমিজ আহমদ বলেন,
সকাল থেকে রাত নয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত আমরা শুধু ফার্মেসিতে বা ক্লিনিকেই সময় দিচ্ছি না, অনেকের বাড়ি বাড়ি গিয়েও সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ইনজেকশন বা স্যালাইন পুশ করা থেকে শুরু করে নানা রকম প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে সাধনপুর ইউনিয়ন ও কালীপুর ইউনিয়ন সহ, এমনকি মোবাইল ফোনে দেশে বিদেশের বিভিন্ন জনকে সেবা প্রধান করে থাকি। কিন্তু আমাদের কোন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নেই। করোনার এই অবস্থায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই আমাদেরকে কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে পল্লী চিকিৎসকরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা শুধু মানুষকে পরামর্শই দিচ্ছেন না, অনেক এলাকা লকডাউনের মধ্যেও তারা মানুষকে করোনার বিষয়ে সচেতন করা সহ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।