
মু. মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে ১০ দিনের অঘোষিত ‘লকডাউন’ জারি করার ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র দিনমজুরেরা। কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের। বাঁশখালীতে করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া এ রকম দরিদ্র দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অস্বচ্ছল, দিনমজুর ও হতদ্ররিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ দিয়ে আসছেন বাঁশখালী উপজেলার নব নিযুক্ত সহকারী কমিশনান (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান ও পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর রোজিয়া সোলতানা রোজি। এ সময় জনপ্রতি ১০ কেজি চাউল, মশর ঢাল, সয়াবিন তেল, সাবান ও লবন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ও জিনিসপত্র বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র সরকার, পৌরসভার কার্য্য সহকারী মোহাম্মদ আলী হোসেন ও পৌর পুলিশগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাঁশখালী পৌরসভার ৪,৫ ও নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রোজিয়া সোলতানা রোজি বলেন, বাঁশখালীর মাটি ও মানুষের নেতা উন্নয়নের রুপকার আমাদের রাজনৈতিক অভিবাবক আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশনায় পৌর মেয়র আলহাজ্ব শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী সার্বিক সহযোগীতায় আমরা আগামী কাল বুধবার থেকে বাঁশখালী পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী ত্রাণ বিতরণ করব। যাতে পৌর এলাকার কোন গরিব অসহায় অস্বচ্ছল দিনমজুর হতদরিদ্র মানুষ অনাহারে কষ্ট না পায়। সব সময় যতটুকু সম্ভব আমরা তাদের সার্বিক সহযোগীতা করে যাব ইনশাআল্লাহ।
বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান বলেন, বাঁশখালীতে একজন মানুষও যাতে অনাহারে না থাকে সে জন্যে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে এই উপজেলার হত দরিদ্র দিনমজুর ১৪ শত পরিবারকে আমরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ধারাবাহিকতায় পৌর এলাকাতেও আমরা এত ত্রাণ বিতরন করছি।
যদি কারো বাসায় খাবার সংকট হয়, আমরা খবর পেলে নিজেই ত্রাণ দিয়ে আসবো। বাঁশখালীতে কেউ অনাহারে থাকবে না।