মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনে স্থানচ্যুত মানুষের স্থায়ীত্বশীল পুনর্বাসন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামের স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন সংগঠন ইপসা’র উদ্যোগে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রনয়ন বিষয়ক পরামর্শক কর্মশালা বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের দিশারী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপসার উপ-পরিচালক মোঃ শাহজাহান। অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইপসার কর্মকর্তা মোরশেদ মোল্লা। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাকেরা শরীফ,
বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, গন্ডামারা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আলী হায়দার চৌধুরী আসিফ,সাংবাদিক কল্যান বড়ুয়া মুক্তা,সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী,সাংবাদিক মিজান বিন তাহের,সাংবাদিক সৈকত আচার্য্য,সাংবাদিক হিমেল বাপ্পা, খানখানাবাদের ইউপি সদস্য মোঃ ইউনুছসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ইপসার বাঁশখালীর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক কল্যাণ বড়–য়া’র স ালনে সভায় বক্তারা বলেন, সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ‘ইপসা’ বাঁশখালীতে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু পরিবর্তী ২৪শ পরিবারকে গৃহনির্মাণ সামগ্রী এবং ৪৭টি টি-সেল্টার নির্মাণ করে দেন। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর পর বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় ১৩৭টি টি-সেল্টার (বাড়ি) নির্মাণ করেন। বর্তমানে জাতিসংঘের চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা ১ মিটার বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। যার ফলে ২০৫০ সালে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। ইতিমধ্যে ২৬টি জেলাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানচ্যুত সমস্যার উৎস হিসাবে চিিহ্নত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের মধ্যে বাঁশখালী হচ্ছে একটি দুর্যোগ প্রবণ উপকূলীয় এলাকা। এখানে প্রতিটি দুর্যোগে মানুষ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও গৃহহারা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানচ্যুত মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা স্বত্বেও স্থানচ্যুত মানুষের জন্য সাহায্য সুরক্ষার পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হওয়া মানুষদের মধ্যে যারা স্বচ্ছল তারা নতুন জায়গায় নিজেদের বাসস্থান ও জীবিকা নিশ্চিত করতে পারলেও যারা অসচ্ছল তারা তা পারে না। এর ফলে তারা দারিদ্রের দুষ্টচক্রে স্থায়ী ভাবে বাঁধা পড়ছে। এ ধরনের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য সামগ্রিক ভাবে স্বেচ্ছা এবং পরিকল্পিত পুনর্বাসন এর বিকল্প নেই যাতে করে তারা ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে কোন বসবাসযোগ্য স্থানে বাস করতে পারেন এবং সব রকমের মৌলিক চাহিদা পেতে পারেন। এর জন্য তাদের জীবিকা সম্পত্তি ভূমি এবং মানবিক অধিকার সমূহ নিশ্চিতকরণ জরুরী।
