
মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনুমোদনবিহীন অবৈধ লটারি বিক্রির প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে ইসলামী আন্দোলনসহ সাধারণ মুসল্লিরা।
মিছিলটি জলদী মিয়ার বাজার থেকে শুরু করে উপজেলা সদর প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের গেইটে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার সেক্রেটারি মাওঃ জসিম উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওঃ আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী, পৌর সেক্রেটারি মাওঃমোবারক হোসাইন আসিফ উপজেলা সেক্রেটারি মাও. জসিম উদ্দিন মিসবাহ, যুবনেতা,মাওঃ এইস এম ফয়জুল্লাহ, মাওঃ আমান উল্লাহ হাসান, মাও. মনিরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর, মুহাম্মদ আব্বাসউদ্দিন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন – আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অবৈধ লটারি বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং মদ, জুয়াসহ সকল প্রকার অসামাজিক কর্মকান্ড এবং যৌনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবী জানান।
উল্লেখ্য, বিগত ১৫-১৬ দিন যাবৎ
বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনুমোদনবিহীন অবৈধ লটারি বাণিজ্যের জমজমাট ব্যবসা পরিচালনা হয়ে আসছে।১ মাস ব্যাপী কর্ণফুলী চক্ষ হাসপাতালের ব্যানারে বৈশাখী মেলার নামে চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে চলছে এই মেলা। এর অংশ হিসেবে দি সোনালী লাকী কূপনের নাম কর্ণফুলী মইজ্জ্যার টেক থেকে শুরু করে আনোয়ারা, বাঁশখালী ও চকরিয়া পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তায়,পাড়ায়,মহল্লায় গ্রামীণ এবং পিএবি প্রধান সড়ক সহ হাট বাজারে , দোকানের সামনে সকাল ৬ টা থেকে রাত ৯.৩০ মিনিট পযর্ন্ত অর্ধ শতাধিক সিএনজি ও ২ শতাধিক অটোরিক্সায় মাইকিং করে করে প্রতি টিকেট মূল্য ২০ টাকা করে সাধারণ জনগণকে লোভ দেখিয়ে প্রতিনিয়ত হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে প্রতিদিন রাত ১০টা ৩১ মিনিটে র্যাফল ড্র অনুষ্ঠানের নামে চলছে লটারি বাণিজ্য। দি সোনালী লাকী কূপনের শাখার নাম দিয়ে দি সোনালী লাকী কূপন, দি সোনালী র্যাফল ড্র, দি নিঝুম লাকী কূপন, দি নিঝুম র্যাফল ড্র, দি সুমন লাকী কূপন, দি সুমন র্যাফল ড্র পুরস্কারের লোভনীয় অফারে এদিকে দিনের প্রথমভাগ শুরু হতে না হতেই লটারি! লটারি!! লটারি বলেই মাইকিং করে অনুমোদনবিহীন লটারি বিক্রির ধুম পড়েছে বাঁশখালীর প্রধানসড়কে ও অভ্যন্তরিণ সড়কে। স্কুল মাদরাসার ক্লাস চালাকালী সময় খেয়াল না রেখে চলছে মাইকিং। দিনব্যাপী তাদের মাইকিংয়ের কারণে পরিবেশে পড়ছে শব্দ দূষণের ব্যাপক প্রভাব।
দি নিঝুম র্যাফল ড্র, প্রতিদিনের ড্র প্রতিদিন শিরোনামে সিএনজি অটোটেক্সির পিছনে ব্যানার লাগিয়ে এম.এ রাজু খানের পরিচালনায় এ র্যাফল ড্র নামে চলছে অনুমোদনবিহীন লটারী ব্যবসা। বাঁশখালীতে অনুমোদনবিহীন লটারির টিকিট বিক্রি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। মোটা অংকের অর্থ পুরস্কারের লোভে এ লটারির টিকিট কিনে প্রতারিত হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও নিম্নআয়ের মানুষ গুলো। এ র্যাফেল ড্রর টিকেট কেটে সর্বস্বান্ত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষজনও।