মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকা ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে সুনামখ্যাতি অর্জন করেছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁঁশখালী পৌরসভার অন্তর্গত উত্তর জলদী ভাদালিয়া হারুন বাজারস্হ বায়তুল ইরফান আদর্শ মাদরাসা’র শিক্ষারর্থীরা। প্রতি বৎসরের ন্যায় এইবার ও সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। বিগত ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনি পরিক্ষায় বায়তুল ইরফান মাদ্রাসার (৫৬ জন) ছাত্র ছাত্রী সরকারী ভাবে শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক ঘোষিত ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি তালিকায় ১৬ জন ট্যালেন্টপুল
২১ জন সাধারণ সহ মোট ৩৭ জন বৃত্তি লাভ করে দক্ষিণ চট্রগ্রামের বাঁঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার স্থরের মধ্যে প্রতিবারের ন্যায় এবারও সফলতার শীর্ষ স্থান ধরে রেখে সু খ্যাতি অর্জন করেছে।পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে সন্তোষজনক সাফল্য অর্জন করেছে উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
তারি ধারাবাহিকতায়
এই মাদ্রাসার মধ্যে সুনাম অব্যাহত রেখে ১৬ জন ছাত্র-ছাত্রী ট্যালেন্টপুল বৃত্তি লাভ করেছেন তাদের মধ্যে আসআদুল ইসলাম,মিছবাহুর রহমান,
ইরফান উদ্দীন আশেক,সাইফুর রহমান জাবেদ,মুনতাসির বিল্লাহ রাফি,সাইফুর রহমান,সাইফুল্লাহ রুবেল,মাহমুদুল হাসান শিবলি,তাহিয়্যা জান্নাত তানহা,
জান্নাতুল ফেরদাউস, আয়েশা ছিদ্দিকা,
কাশেফাতুন্নাঈম, আয়েশা ছিদ্দিকা,ছায়েরাতুল মোস্তাক,
শামিমা আক্তার,জান্নাতুল মাওয়া এবং অপরদিকে ২১ জন ছাত্র-ছাত্রী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন তারা হলেন শাহেদ হোসাইন,মুহাম্মদ রিদওয়ান,মিশকাতুল আলম,রিদওয়ানুল হক,সাইফুলইসলাম,নুরুল আবছার সাকিব,আব্দুল হান্নান,আলমগীর কবির,আরাফাতুল ইসলাম, মিফতাহুল জান্নাত,তাসমিন আক্তার,সুমাইয়া হোসাইন,তানজিনা সুলতানা,রেখা আক্তার,হালিমা সুলতানা,সানিয়া রহমান নুহাত,আসমা আক্তার মুন্নি,কানিজ ফাতেমা নিশাত,নাসরিন সুলতানা নিশু,সানজিদা ছামিয়া,উম্মে হাবিবা প্রমূখ।
অন্যদিকে ৮ম শ্রেণির জে.ডি. সি পরিক্ষায় ৫ জন সাধারণ বৃত্তি লাভ করেছে। অভিভাকরা ছেলে-মেয়েদের এমন ফলাফলে দারুণ উৎফুল্ল হয়েছে।
মাদ্রাসার এ ভাল ফলাফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা খুবই খুশি। তারা এজন্যে মাদ্রাসার পরিচালক এবং শিক্ষক শিক্ষিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার মান ও লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত লেখাপড়ায় মনোনিবেশ সৃষ্টিতে মাদ্রাসার পরিচালকের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, শিক্ষকমন্ডলীর নিয়মিত পাঠদান ও নিবিড় পরিচর্যা মাদ্রাসার ধারাবাহিক সাফল্যের নেপথ্যে প্রধান ভূমিকা রাখছে বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক
আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মুহাম্মদ মনছুরুল হক বলেন, বাঁঁশখালী উপজেলায় এবছর পাসেরহার কিছুটা নিচে নেমে গেছে। আমাদের টার্গেট ছিলো শতভাগ পাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা সেই টার্গেট পূরণ করতে পারিনি। আগামী দিনগুলোতে আমরা শতভাগ পাস করার টার্গেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় লেখাপড়া করানোর ওপর জোর দেবো।
অতিতের ন্যায় শতভাগ পাসকরা মাদ্রাসার তালিকায় নিজেদের নাম অব্যাহত রেখেছে। মাদ্রাসার এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য মাদ্রাসার পরিচালক সদস্যবৃন্দ মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন এবং এই সাফল্যপূণ ফলাফলের জন্য পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক-অভিভাবিকা, এবং এলাকার জনগনকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।