তাফহীমুল ইসলাম (বাঁশখালী টাইমস)- ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী বাঁশখালীর কালীপুর এজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরকজয়ন্তীর প্রথম দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অতিবাহিত হয়েছে।
সকাল ১১টায় দুই দিন ব্যাপী বর্নাঢ্য হীরক জয়ন্তীর শুভ উদ্বোধন করেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাঁশখালীর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনোত্তর আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম.এ মালেক, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য শাহিদা আকতার জাহান, প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিজাম উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ আ.ন.ম সরওয়ার আলম, কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট আ.ন.ম শাহাদাত আলমসহ নিবন্ধিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমার নামাজের বিরতির পর বেলা তিনটার সময় বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে অনু্ষ্ঠিত হয় বর্নাঢ্য র্যালী। র্যালীটি কালীপুর ইউনিয়নের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয়ের মাঠে এসে আনন্দ- উৎসবের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় প্রাক্তন ছাত্রদের র্যালী উপভোগ করেন বাঁশখালীর মাননীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
আসর নামাজের বিরতির পর বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিজাম উদ্দীনের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা সভা।আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড.আ.ন.ম শাহাদত আলম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট-হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক কাজী নাজিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এড.আনোয়ারুল ইসলাম, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মোল্লা,বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আলমগীর হোসেন
প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিচারপতি বোরহান উদ্দীন শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন- প্রত্যেক অভিভাবক, শিক্ষকদের বিশ্বাস থাকে তাদের ছেলে, মেয়ে, ছাত্র-ছাত্রী জ্ঞানী, বিদ্বান হবে। শুধু অভিভাবক, শিক্ষকদের এই বিশ্বাস থাকলে হবে না। এই বিশ্বাস থাকতে হবে তোমাদেরও। জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করার জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষা গ্রহণ করতে হলে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রমের।
মাগরিবের নামাজের বিরতির পর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে দেশবরেন্য শিল্পীরা গান, নৃত্য পরিবেশন করেন।