আজ ৬ আগস্ট বিশ্ব বন্ধু দিবস। বাঁশখালী টাইমসের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি শুভেচ্ছা রইল।
আমার কাছে দূরে সকল প্রাণ প্রিয় বন্ধু-বান্ধবদের শুভ কামনা ও তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করে,
বন্ধু দিবস নিয়ে কিছু কথা…
সেই ছোটবেলা থেকেই আমরা বইপত্রে পড়ে আসছি – মানুষ সামাজিক জীব! এর কারণটি হলো মানুষ একা বসবাস করতে পারে না। মানুষ নিয়েই সমাজ গঠিত আর সমাজেই বসবাস করে মানুষ। সমাজ ও মানুষ একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই সমাজে বাস করতে হলে, প্রতিদিন কারো না কারো সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। কাউকে না কাউকে আপন করতে হয়। একে অন্যকে আপন করে নেবার নামই বন্ধুত্ব। তবে বন্ধুত্ব এমন একটি বন্ধন, এতে থাকে স্বার্থহীন ভালোবাসা।
পৃথিবীর অন্যতম নিষ্পাপ সম্পর্কের একটি হল ‘বন্ধুত্ব’। একে অন্যের সুখে-খুশিতে লাফিয়ে ওঠার; একে অন্যের দুঃখে পাশে দাঁড়ানোর। মন খুলে কথা বলা, হেসে গড়াগড়ি খাওয়া আর চূড়ান্ত পাগলামি করার একমাত্র আধার এ ‘বন্ধুত্ব’। বন্ধুত্ব কোনো বয়স মেনে হয় না, ছোট-বড় সবাই বন্ধু হতে পারে। তবে হ্যাঁ, বয়সের ব্যবধানের কারণে ছোটদের প্রতি স্নেহ আর বড়দের প্রতি সম্মানটা থাকা অত্যাবশ্যকীয়। বন্ধুত্বের মধ্যে যে জিনিসটা থাকা চাই তা হল ‘ভালোবাসা’। আত্মার সঙ্গে আত্মার টান থাকতেই হবে।
আজকাল আধুনিকতার স্পর্শে এ ‘বন্ধু’ শব্দটির বদলে মানুষ ইংরেজি ‘ফ্রেন্ড’ শব্দটিতেই বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলা ‘বন্ধু’ শব্দটির মাঝে যে আবেদন আছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ছোটকালে বাংলা ব্যাকরণে আমরা সবাই শিখেছি- বন্ধু (পুংলিঙ্গ) ও বান্ধবী (স্ত্রীলিঙ্গ)। তবে নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ‘বন্ধু’ শব্দটি প্রয়োগযোগ্য।
বন্ধু হচ্ছে চাঁদের মতো। চাঁদনী রাতে যেখানেই যাবো, সঙ্গে যাবে চাঁদ। যতদূরেই হোক, দূর আকাশ থেকে জানান দেবে ‘আমি আছি’। জীবনে বন্ধু হচ্ছে তৃষ্ণায় এক আজলা শীতল জলের মতো। সৃষ্টির শুরুতে বন্ধুত্ব ছিল, এখনও আছে, থাকবে অনন্তকাল। আত্মার আত্মীয় বন্ধুকে ধন্যবাদান্তে একঝুড়ি ভালোবাসা জানাতে দীর্ঘদিন ধরে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব বন্ধু দিবস।
আজ বিশ্ব বন্ধু দিবস। প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রবিবার সারা বিশ্বে একযোগে বন্ধু দিবস পালন করা হয়। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও এ দিনেই বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এ দিবসটির প্রচলন বিগত শতাব্দীর শেষাংশে হলেও এখন তা সারা দেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে গেছে।