বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কতটুকু দায়িত্বশীল?
– আমজাদুল আলম মুরাদ
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সত্যিকারভাবেই লালিত হোক বাঙ্গালী সত্তায়– বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বা জাতীয় শিশু দিবস কিংবা জাতীয় শোক দিবস আসলে একটা কথা আরো বেশি মনে হয়- যে মানুষটি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, অসংখ্যবার জেল জুলুম সহ্য করে, পরিবারের সান্নিধ্যের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে এই দেশ বা জাতির মুক্তির নেতৃত্ব দিলো, যে মানুষটির স্বপ্ন ছিলো স্বনির্ভর শান্তিময় স্বপ্নীল এক বাংলাদেশের। সে মানুষটির স্বপ্ন পূরণে আমরা কতোটা ব্যক্তিগত বা জাতিগতভাবে দায়িত্বশীল?
বঙ্গবন্ধু আজীবন ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বলিষ্ট এক ব্যক্তিত্ব। তিনি চেয়েছিলেন ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য দুর্নীতিমুক্ত আর ক্ষুধামুক্ত এক বাংলাদেশ। তার জন্য তিনি সোচ্চার এবং সচেষ্টও ছিলেন। অনেকের মতে তাঁকে হত্যা করার এটাও অন্যতম কারণ। অথচ সেই প্রিয় মাতৃভূমিকে একদিকে যেমন দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে দুর্নীতি গ্রাস করে ফেলেছে তেমনি বিকৃত সাম্প্রদায়িক চিন্তাভাবনা আগামীর জন্য অশনি সংকেত দিচ্ছে। দুর্নীতি আর অনিয়ম শেষ করে দিচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক এবং অবকাঠামোর নানামুখী উন্নয়নের চলমান গতি। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা আর দ্রুত সময়ের মধ্যে বড়লোক হওয়া বা কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার চিন্তা ভাবনা নিঃশেষ করে দিচ্ছে পারস্পরিক ভালবাসা, মায়া আর বিবেকবোধকে।
বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। যার দুরদর্শিতা আর প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ বা শাসনে আছে কোটি মানুষের আস্থা। দ্রুত সময়েই তাঁর প্রজ্ঞা আর সুদূরপ্রসারী চিন্তা দিয়ে দক্ষতার সাথে কঠিনতর এবং আরো সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে দুর্নীতি, লোভ আর সাম্প্রদায়িকতাকে দমন করতে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় আমাদের এমন বাংলাদেশ হয়তো দেখতে হবে যেটা কখনো বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হতে পারেনা। জাতি প্রতীক্ষায় বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে আরো বর্ণিল, উন্নত ও গর্বের এক বাংলাদেশ দেখার।
লেখক: ব্যাংকার (আইটি প্রফেশনাল) ও প্রোগ্রাম হোস্ট- বাঁশখালী টাইমস