মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।
১৫ আগস্ট সোমবার জাতীয় শোক দিবসে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালীর সংসদ সদস্য লআলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব সাদলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শফিউর রহমান মজুমদার, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবু ছালেকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মামুন,উপজেলা প্রকৌশল কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ, সমবায় কর্মকর্তা গাজী ওমর ফারুক চৌধুরী, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা নিলয় বিশ্বাস, ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ, প্যানেল মেয়র রোজিয়া সোলতানা, সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, আব্দুল মতলব কালু, শাহ মোহাম্মদ শফি উল্লাহ,মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের প্রমুখ।
সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আজ রক্তের অক্ষরে লেখা ১৫ আগস্ট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার কলঙ্কিত দিন। আজ কান্নার দিন, জাতীয় শোক দিবস। আজ বাংলার নিসর্গ-প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে খুনিদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পলাতক আসামীদের বাংলার এই মাটিতে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের দেশ আজ শান্তি ও সুশৃঙ্খল এবং নিরাপত্তার বাংলাদেশ।’