আবু ওবাইদা আরাফাত, বাঁশখালী টাইমস: সালসাবিলা নকি একজন প্রতিশ্রুতিশীল লেখিকা। বাঁশখালীর এই কৃতিলেখিকা বাঁশখালী টাইমসের নারীবিষয়ক আয়োজন ‘নভেরা’র বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
সমাজে বিদ্যমান কিছু ক্যান্সাররূপী অসঙ্গতি তাঁর লেখকসত্তাকে দারুণভাবে পীড়া দেয়। ফলত, তাঁর প্রত্যেকটি লেখার ফোকাসে থাকে মানুষের বঞ্চনা, নিপীড়িত হওয়ার গল্প ও মাতৃহৃদয়ের অনুভব, হাহাহার ও এসব হতে পরিত্রাণের আকুতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর লেখালেখি প্রকাশিত হলেও
২০২১ গ্রন্থমেলায় নিজের প্রথম গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ পেলো আধিভৌতিক সামাজিক রহস্যোপন্যাস ‘ক্যানভাসে আঁকা মৃত্যু’
এ উপন্যাস সম্পর্কে ঔপন্যাসিক আরকানুল ইসলাম লিখেন- ‘প্রিয় লেখিকা, যাকে অত্যন্ত কাছের মনে করি, সেই সালসাবিলা নকি’র সদ্য প্রকাশিত বই আধিভৌতিক সামাজিক রহস্যোপন্যাস ‘ক্যানভাসে আঁকা মৃত্যু’। গত কয়েক বছর ধরে বই আসবে আসবে করেও আসেনি। অথচ বই আরো আগে আসতে পারতো। কারণ, ওনার লেখার হাত এতই চমৎকার, যে কেউ তাতে বুঁদ হয়ে থাকতে বাধ্য। ওনার লেখা গল্পগুলোতে থাকে সামাজিক নানা বাধা-বিপত্তির পেছনের চমৎকার সব মেসেজ। একটি গল্পে যদি কোনো মেসেজ না থাকে, শুধু গড়গড় করে গল্পই বলে যাওয়া হয়, শুধুই অহেতুক, অপ্রয়োজনীয় সংলাপ থাকে, সেটাকে আমার ঠিক গল্প বলে মনে হয় না, মনে হয় পাঠক ঠকানো হচ্ছে। এদিক থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ও স্বতন্ত্র সালসাবিলা নকি।’
উপন্যাসের কাহিনী সংক্ষেপ-
‘শান্তিভবনের এল-৫ ফ্ল্যাটে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় এক তরুণী। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ওটা আত্মহত্যা ছিল। এরপর পরই বাড়ির মালিক রহমান সাহেব তার ভাতিজা আশরাফকে বাড়িটি তদারকির দায়িত্ব দিয়ে তার পুত্র নিহাল ও স্ত্রীসহ চলে যান ইতালি। যাওয়ার আগে এল-৫ ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া তো দূরের ব্যাপার, প্রবেশেই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যান। কিন্তু কেন?
ঘটনার ছয় বছর পর আশরাফের স্ত্রী শাহানার জোরাজুরিতে আর বাড়তি কিছু আয়ের উদ্দেশ্যে সেই এল-৫ ফ্ল্যাট গোপনে ভাড়া দেন তুলিকে—যে কিনা শাহানারই বান্ধবী। ভাড়া দেওয়ার আগে নিষিদ্ধ ফ্ল্যাটে ঢুকতেই এক ভয়ংকর ঘটনার মুখোমুখি হয় শাহানা। যা পরবর্তীতে ফ্ল্যাটে ওঠার পর তুলির স্বামী চিত্রশিল্পী রায়হানকেও মুখোমুখি হতে হয়। কী সেই ভয়ংকর ঘটনা?
উকিল তাজউদ্দীন ভোরবেলা কবর খুঁড়ে বের করেন ছয় বছরের এক বাচ্চা মেয়েকে! কী তার পরিচয়?
সেসময়ই ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসে নিহাল। এসেই তাকে দেখতে হয় তার কাছের চার বন্ধুর নির্মম পরিণতি, যা ধেয়ে আসে তার দিকেও। পারবে কি সে নিজেকে বাঁচাতে?
সবগুলো প্রশ্নের উত্তর যেন দেওয়া হয়ে গেছে ছয় বছর আগেই। আর সেই উত্তর মৃত্যু দিয়ে আঁকা আছে ক্যানভাসে।
মৃত্যু যখন লেখা থাকে তখনই আসে। কিন্তু কিছু লোক স্রষ্টার বিরুদ্ধে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় মানুষের মৃত্যু আঁকে। প্রভাব খাটিয়ে দেশের আইনের হাত থেকে বাঁচলেও প্রকৃতিই তাদের শাস্তি দেয়।
পাপীরা কি পাবে তাদের অপরাধের শাস্তি?
৬ বছর আগে কী ঘটেছিল আসলে?
সব রহস্যের জট কি প্রকৃতি আসলেও খুলতে চায়?
কখনও ভয়, কখনও রহস্য, কখনও বাঁধ ভাঙা কান্নায় মাখামাখি সামাজিক রহস্যোপন্যাস “ক্যানভাসে আঁকা মৃত্যু”
বইটির প্রকাশনায় আছে ভূমিপ্রকাশ। প্রচ্ছদ করেছেন সজল চৌধুরী। মলাটমূল্য ৩২০ টাকা। কমিশন বাদ দিয়ে আরো কমে পাওয়া যাবে বইটি।
বইটি ঢাকার অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ৪৯২ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে।
তাছাড়া বর্তমানে রকমারি, দূরবীন, বিবিধশপ, বিবলিওফাইল, বুক ফিয়েস্তাসহ সকল অনলাইন বুকশপ থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।