আরমানউজ্জামান: একজন ছাত্র পরীক্ষা দেয় বছরে কয়েকবার আর শিক্ষক পরীক্ষা দেন প্রতিদিন, প্রতি ক্লাসে। একজন লেখককেও প্রতি মুহূর্তে তার পাঠক, সমালোচক এমনকি প্রকাশকের কাছেও পরীক্ষা দিতে হয়। তবে আদর্শ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা বরাবরই সৈনিককে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। বোধকরি, সেই পরীক্ষায় খুব ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছেন কিশোর ঔপন্যাসিক আরকানুল ইসলাম। অন্তত তার প্রকাশিত উপন্যাসগুলো দিনদিন সেই দাবিকে আরো জোরালো করে তুলছে পাঠকসমাজে। এসব কিছুর পেছনে রয়েছে তার কঠোর অধ্যবসায় ও মেধা-মননের সমন্বয়। যদিও এই বিনয়ী লেখকের একটি বড় পরিচয় হলো তিনি একজন দুর্দান্ত ছন্দ-বিশারদ, ছড়াকার।
প্রচারবিমুখ এই মানুষটি লেখালেখির সাথে রয়েছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে ছাড়াও দেশের স্বনামধন্য প্রায় সকল পত্রিকা, ছোটকাগজে দীর্ঘ সময় ধরে নিরবে সাহিত্যচর্চা করে নিজেকে যোগ্য কলমসৈনিক রূপে তৈরি করেছেন। ছড়া, কবিতা, গল্প নিয়ে তার অগণিত কাজ থাকলেও ভালোবাসার জায়গা কিশোর উপন্যাস। গল্পের বুনন, বয়ান ও নির্মাণশৈলীতে পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধের মতো লেখার শেষ অবধি টেনে নিতে বাধ্য করতে পারেন এই প্রতিশ্রুতিশীল লেখক। বরাবরের মতো এবারও মলাটবন্দি হতে যাচ্ছে তার রোমাঞ্চকর কিশোর উপন্যাস “ছোটমামার বড় বিপদ”। এটি তার চতুর্থ উপন্যাস।
ঔপন্যাসিক আরকানুল ইসলাম তার দূরন্তপনা শৈশব-কৈশোর পার করেছেন জন্মস্থান চট্টগ্রামের আরেক নৈসর্গিক উপজেলা বাঁশখালীর চেচুরিয়া গ্রামে। বাবা ও মা তার জীবনবোধ, ন্যায়নীতি ও আদর্শের শিক্ষক।
২০১০ সালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে কর্মরত।
ছোটমামার বড় বিপদ উপন্যাসটি পাঠকমহলে অাবারো ব্যাপক সাড়া তুলবে বলেই আশাবাদী।