একটি রাষ্ট্রীয় মৃত্যুর বন্দোবস্ত
ফারহান নাছির নির্ণয়
প্রেমিকার ঘ্রাণ এখন আর মাতাল করে না।
রাষ্ট্রীয় কোষাগার শূন্য।
মায়ের রান্নাঘরে মাকড়সা, তেলাপোকা, টিকটিকির আড্ডা।
উনুনে আগুন জ্বলেনি আজো।
নেতার আশার বাণী শুনে বিছানা পাতি।
বিছানা বলতে একটা ছেড়া পাটি,
বৃষ্টি এলে গোটা ঘর হবে স্যাঁতস্যাঁতে।
ক্ষুধার যন্ত্রণায় প্রেমিকার কথা মনে পড়ে না ঘুমাতে।
প্রিয়তমা, তোমায় ভুলতে বাধ্য করছে এ রাষ্ট্র যন্ত্র।
তোমায় নিয়ে ফুটপাতে হাটতে হাটতে বাদাম খাওয়া
কিংবা লেকের ধারে বসে থাকা হয়নি,
জীবনের অনিশ্চয়তায়, অর্থ চিন্তায়।
রাষ্ট্র আমায় ক্ষুধার্ত মারছে।
পরনের কাপড় কবে খুলে নিয়েছে-
যাতে মিছিলে যেতে না পারি।
জবানে ঠুসে দিয়েছে ক’টা সংবিধানের পাতা।
তারা জানে না আমি ক্ষুধায় নয়,
কপালে-বুকে গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা যাবো।
মিছিলে অধিকারের কথা বলতে বলতে মারা যাবো।
মায়ের নতুন শাড়ি কেনার কথা ভাবতে ভাবতে মারা যাবো।
বাবার জন্য একটা ইজি চেয়ার কিনবার কথা ভাবতে ভাবতে মারা যাবো।
বোনের জন্য কানের দুল, চুড়ি কেনার কথা ভাবতে ভাবতে মারা যাবো।
প্রেমিকাকে না পাওয়ার বেদনায় হাসতে হাসতে মারা যাবো।
আমি বস্ত্রহীনই চলে যাবো মিছিলে।
মানুষ দ্যাখবে, একটি উলঙ্গ রাষ্ট্রর শ্লোগান।