মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি বলেছেন- ‘মসজিদ আল্লাহর ঘর, মাদ্রাসা নবীজীর ঘর, সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই ঘরগুলোকে হেফাজত করতে হবে। এখানে কাউকে কটাক্ষ বা হেয় করার সুযোগ নেই।
পর্দাই নারীদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি। আহমদ শফি বলেন, ‘নারীরা সমাজের অর্ধেক। পর্দা পালনেই তাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি। তাদের নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ পর্দার বিধান জারি করেছেন। আল্লাহর আইন না মানলে খাঁটি মুমিন হওয়া যায় না।’
গতকাল শুক্রবার বাঁশখালী জলদী মাখজানুল উলুম বাইঙ্গাপাড়া (বাঁশখালী বড় মাদ্রাসার) ৯২তম বার্ষিকী মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় তিনি বলেন,
ছেলে মেয়েদেরকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করুন। তাদেরকে ভিডিও মোবাইল দিবেন না, কারণ এই মোবাইল দেখে দেখে যুব সমাজ দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে। তাদেরকে ভিডিও মোবাইল না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যারা অভিভাবক স্কুল-কলেজে ছেলে-মেয়েদের না দিয়ে মাদরাসায় দেন। তারা নামাজী হবে, দ্বীনি এলেম অর্জন করবে। স্কুলে পড়ালেখা করিয়ে কোন পথে ছেড়ে দিচ্ছেন? স্কুল-কলেজ, ভার্সিটির কি অবস্থা আপনাদের জানার কথা। পড়ালেখা বলতে ওখানে কিছুই নেই। ওখানে মহিলারাও পড়ে, পুরুষেরাও পড়ে। কেন স্কুল ভার্সিটিতে পড়ান? আমি বললে নারাজ হবেন না, পত্র পত্রিকায় আমরা দেখি স্কুল-কলেজের শিক্ষক ছাত্রীর উপর বদমাশি করে। এগুলো বললে কেন আমার উপর রাগ করেন আপনারা? প্রত্যেক পরিবারকে নামাজি হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, আপনারা যারা অভিভাবক আছেন তারা ছেলেমেয়ের হাতে মোবাইল দিবেন না। মোবাইলের দ্বারা লেখা পড়া হচ্ছেনা। ভিডিও মোবাইলে দুনিয়াকে শেষ করছে। কম্বলে লুকিয়ে লুকিয়ে শুধু নাচগান দেখতেছে। আর আপনারা ছেলে মেয়ের জন্য তাবিজ তালাশ করছেন কেন, আল্লাহ্ সন্তান না দিলে কারো কোন ক্ষমতা নেই সন্তান দেওয়ার। ছেলে মেয়ে আল্লাহর কাছে চান। নিয়্যত করেন সন্তান হলে মাদরাসায় পড়াবেন। আপনার সবাই ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন,দাঁড়ি নবীর সুন্নাত, সবাই আজকে থেকে দাঁড়ি রাখবেন।
বিশেষ ওয়ায়েজ হিসেবে নসিহত পেশ করেন, বিশেষ ওয়ায়েজ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা শেখ আহমদ, চাম্বল দারুল উলুম আইনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল জলীল, আল্লামা মুফতি আজিজুল হক আলমাদানী চট্টগ্রাম, মুফতি ফয়জুল্লাহ লালবাগ ঢাকা, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর (রাহঃ) জামাতা ঢাকা লালবাগ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, আল্লামা ছৈয়দুল আলম আরমানী রাজঘাটা মাদ্রাসা, আল্লামা মোস্তাফা নূরী চকরিয়া, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ রফিকী ঢাকা, মাওলানা ফেরদাউস উর রহমান ঢাকা, আল্লামা মাওলানা জাহেদ বিন ইউনুছ পটিয়া মাদ্রাসা, আল্লামা আনোয়ার শাহ আযহারী হাটহাজারী, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুইনুদ্দীন রুহী, মাওলানা মির্জা ইয়াছিন আরাফাত ঢাকা, মাওলানা আব্দুল্লাহ সায়েম ঢাকা, চট্টগ্রাম নাছিরাবাদ মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল জাব্বার, বাঁশখালী মনকিচর এমদাদুল আলম মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা আবু বক্কর, ডঃ আল্লামা বায়েজীদ ঢাকা, মুফতি শামশুউদ্দীন আফতাব। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন হাফেজ আব্দুর রহমান বিন আব্দুস সোবহান।
উপস্থিত ছিলেন, উক্ত মাদ্রসার সাবেক মোহতামিম মাওলানা নুরুল হক সুজিস, প্রতিষ্ঠাতা পুত্র আলহাজ্ব মাওলানা ছাবের আহমমদ, বাঁশখালী জলদী আধুনিক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শোয়াইবুর রহমান, এডভোকেট মো: নাছির, উক্ত মাদ্রাসার দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দৈনিক মানবকন্ঠের বাঁশখালী প্রতিনিধি মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি হিমেল বড়ুয়া বাপ্পা, দৈনিক অধিকার প্রতিনিধি শিব্বির আহমদ রানা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, হেলিকপ্টার যোগে আল্লামা আহমদ শফি দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে এসে উপস্থিত হন।