প্রাথমিকের ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের পরীক্ষা ১৫ই মার্চ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রতিবছর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিসহ পরীক্ষা গ্রহণে নেতৃত্ব দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরো কড়াকড়ি আনা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এবার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস নির্ধারণ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। পরীক্ষার সময়সূচি, ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে করা হবে তা নিয়ে বুয়েটের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবারও আগের মতই লিখিত ও মৌখিক দুই স্তরেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বর ও ভাইভায় ২০ নম্বর থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় আসন প্রতি তিনজনকে (একজন পুরুষ ও দুইজন নারী) নির্বাচন করা হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার জন্য এই নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে মার্চে নেওয়া হয়েছে।

অন্যান্য বারের চেয়ে ২০১৮ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

প্রার্থীরা www.dpe.teletalk.com.bdওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ছাড়া ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bdপাওয়া যাবে।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *