প্রশ্নফাঁস রোধকল্পে প্রস্তাবনা সমুহ বিবেচনা কি করা যায়?
1. পরীক্ষা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রন কক্ষের কম্পিউটার গুলি ইন্টারনের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ের কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্কিং কেবলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন কক্ষ এবং পরীক্ষা কক্ষের প্রিন্টারের সাথে যুক্ত থাকবে।
2. মন্ত্রনালয়ের কম্পিউটারে আগে থেকেই পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় সেট করে দেওয়া থাকবে।
3. পরীক্ষা শুরুর সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রনালয়ের কম্পিউটার সয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রন কক্ষের কম্পিউটার
গুলির মাধ্যমে পরীক্ষা কক্ষের প্রিন্টার এবং নিয়ন্ত্রন কক্ষের প্রিন্টার গুলিকে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করার নির্দেশ দিবে।
4. মুহূতেই (2-3 মিনিটে) প্রিন্টার গুলি প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করবে।
5. কক্ষ পরিদর্শকগণ পরবর্তি 2-3 মিনিটে প্রিন্টকৃত প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌছে দেবে।
6. পরীক্ষা শুরুর হওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির 3-5 জন লোক ছাড়া কেউ কিছু জানতে পারবে না, ফলে প্রশ্ন ফাঁস অসম্ভব।
7. সনাতন পদ্ধতির চেয়ে সরকারের পরীক্ষা সংক্রান্ত খরচ কমবে, কারণ এতে প্রশ্নপত্র পরিবহন খরচ নেই।
8. 3 মাসের মধ্যে দেশের সকল পরীক্ষা কেন্দ্রকে DEC-এ রূপান্তরিত করা যাবে।
9. নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিমিত্তে আবার
প্রতিটি সেন্টারে স্ট্যান্ডবাই স্বয়ংক্রিয় জেনারেটর ব্যবস্থাও লাগবে।।। এক একটি সেন্টারে বিভিন্ন স্কুল কলেজের কমবেশ প্রায় দুই হাজার পরীক্ষার্থী থাকে।। সুতরাং প্রিন্টার ও কম্পিউটারের সংখ্যা কমপক্ষে ১০ জোড়া করে লাগবে সাথে হাইস্পীড ইন্টারনেট সংযোগ। প্রতিটি সেন্টারে একাধিক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার বা কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ পদায়ন করতে হবে ।। নইলে একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট না হওয়ার অজুহাতে পরীক্ষা বাতিল।। যেখানে দেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিনের চাল বা ছাদ পর্যন্ত দেয়া যাচ্ছে না সেখানে এত সব সরকারি ব্যবস্থা প্রায় অসম্ভব।
তাই ‘রাধাও নাচবে না, নয় মণ ঘি ও পুড়বে না’.
আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইট বা কম্পিউটার যে হ্যাক হবেনা তার কি নিশ্চয়তা আছে! তাই গলদ কোথায় সেখানেই আঘাত করতে হবে, অন্য কোন বিকল্প পদ্ধতি অন্তত বাংলাদেশে কাজে আসবে না।।
———————————————-
সালাউদ্দিন সাকিব,
প্রাক্তন ছাত্র সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
you solve one of our major problem. thanks