বাঁশখালী টাইমস: আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের প্রক্টর বাঁশখালীর কৃতিসন্তান ড. নেজামুল হক ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন।
গত ৩০ জুলাই ২০২২ ইং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ তম সিন্ডিকেট সভায় তিনি এই পদোন্নতি লাভ করেন।
ড. নেজামুল হক ছাত্রজীবন থেকেই একজন তুখোড় মেধাবী। মেধা, পরিশ্রম ও একনিষ্ঠ গবেষণার সমন্বয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন একজন জনপ্রিয় শিক্ষক ও দক্ষ প্রশাসক।
তিনি ২০০৫ সালে আইআইইউসি-তে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৯ ও ২০১৪ সালে যথাক্রমে সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ডক্টর হক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় বিবিএ (অনার্স), এমবিএ, এমফিল এবং ইউনিভার্সিটি সাইন্স ইসলাম মালয়েশিয়া (ইউএসআইএম), মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে( Indexed in ISI, SCOPUS and ranked by ABDC, ABS) ৪৬ টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
তাঁর গবেষণার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, সামাজিক ব্যবসা, সামাজিক এন্টারপ্রাইজ অর্থনীতি, কর্মজীবনের ভারসাম্য ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য তিনি ২০১৫ সালে ‘এমেরেল্ড লিটারেটি নেটওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ডস’ পুরস্কার অর্জন করেন।
তাঁর লিখিত মডেল ‘টোটাল মোটিভেশন মডেল’ ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের পিএইচডি শিক্ষার্থী গবেষণা তত্ত্ব হিসাবে ব্যবহার করছেন।
গুগল স্কলারের মতে এ পর্যন্ত তাঁর গবেষণাকর্ম ৬৪১ বারের বেশি উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি দেশ-বিদেশের অনেক স্বনামধন্য জার্নালের জন্য নিবন্ধ পর্যালোচনা করছেন, অদ্যাবধি তিনি এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, এবং থাইল্যান্ডে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ড. নেজামুল হক আইআইইউসির বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে বিভিন্ন গুরু দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ, গুণগত শিক্ষা ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলায় অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি কালীপুর এজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন৷ উভয় পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি কুমিল্লা বোর্ডের বৃত্তি লাভ করেন।
ড. নেজামুল হক বাঁশখালী কালীপুর নিবাসী মোহাম্মদ হোসাইনের গর্বিত সন্তান।